বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ! পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে কমিশনে চিঠি তৃণমূল কংগ্রেসের

১১:১৫ এএম, মে ৩, ২০২১

নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ! পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে কমিশনে চিঠি তৃণমূল কংগ্রেসের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কাল ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বাংলার মানুষের রায়ে এ রাজ্যের ক্ষমতায় তৃতীয়বারের জন্য আসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র পুনর্গণনার দাবি করলেও, তা খারিজ করে দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। এরপরই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে পুনর্গণনা চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

ইতিমধ্যেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে এ প্রসঙ্গে চিঠিও দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কোনও কারণ ছাড়াই পুনর্গণনা করতে সম্মত হননি রিটার্নিং অফিসার। আর তা সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। নির্বাচনী ব্যবস্থার পবিত্রতা রক্ষা করতে পুনর্গণনার নির্দেশ দেওয়া উচিত বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

শাসকদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, একাধিকবার কাল গণনা প্রক্রিয়া থেমে গেছে। সে ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেনি নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলে অভিযোগ, ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছে। গণনায় ধরা হয়েছে বিজেপির পক্ষে ভুয়ো বা অবৈধ ভোটও। ব্যালটেও কারচুপি হয়েছে। পোস্টাল ব্যালটের ভুল গণনা করা হয়েছে। এগিয়ে থাকা প্রার্থীর সঙ্গে সামান্য ব্যবধানকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

এদিন নন্দীগ্রামে ডিস্ট্রিক ইনফরমেশন অফিসার জানান, ১ লক্ষ ৯ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়েছেন শুভেন্দু ১ লক্ষ ৭ হাজার ৯৩৭ ভোট পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ৬ হাজার ১৯৮ ভোট পেয়েছেন। ফলাফলেই স্পষ্ট যে, প্রাপ্ত ভোটে এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘোষণার পরেই পুনর্গণনার দাবি তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। রিটার্নিং অফিসারের কাছে পোস্টাল ব্যালট পুনর্গণনার দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান।

রবিবার ভোটের ফল ঘোষণার পর, সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে কারচুপির অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘গোটা রাজ্যের সঙ্গে একটা বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফলের ফারাক হতে পারে! এটা সম্ভব? না। জয়ী ঘোষণা করার পর, ওরা অন্য কথা বলছে।লুঠিং ইজ গোয়িং অন। চিটিং ইজ গোয়িং অন। উই উইল ফাইল কোর্ট কেস।’