বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

রাজধানীতে শাহের দফতরের সামনে তৃণমূলের নজিরবিহীন প্রতিবাদ! মাদুর পেতে ধর্নায় তৃণমূল সাংসদরা

০১:৩১ পিএম, নভেম্বর ২২, ২০২১

রাজধানীতে শাহের দফতরের সামনে তৃণমূলের নজিরবিহীন প্রতিবাদ! মাদুর পেতে ধর্নায় তৃণমূল সাংসদরা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজনৈতিক অশান্তির জেরে উত্তপ্ত ত্রিপুরা। গতকাল দিনভর পূর্ব আগরতলা থানায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পর, বিকেলের দিকে গ্রেফতার করা হয় যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে। দলের প্রচারে বেরিয়ে রাজনৈতিক উস্কানি, গাড়ি চাপা দিয়ে খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর সব অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ডবিধির জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও দায়ের হয়েছে। সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে ইতিমধ্যেই চড়ছে রাজনীতির পারদ। পড়শি রাজ্যে রওনা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু-সহ অন্যান্যরা।

অন্যদিকে, এদিন নয়া দিল্লিতে জোড়াফুল শিবিরের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা নজিরবিহীন প্রতিবাদে সামিল হন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতরের সামনে মাদুর পেতে ধর্নায় বসেন সুখেন্দুশেখর রায়, কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়, ডেরেক ও'ব্রায়েন, সৌগত রায়, শান্তনু সেনরা, অপরূপা পোদ্দার, দোলা সেন, মালা রায়-সহ ১৮ জন সাংসদ।

বিপ্লব দেব শাসিত ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর হামলা, যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কর্মসূচী করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, আর এই সব অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। কিন্তু সেই অনুমতি না পেয়ে, স্বরাষ্ট্র দফতরের সামনেই ধর্নায় বসেরন তৃণমূলের ১৮ জন সাংসদ। এদিন কেন্দ্রে বিজেপি সকারের পাশাপাশি ত্রিপুরার বিপ্লব দেবের সরকাররে সমালোচনায় সরব হন সাংসদরা।

https://twitter.com/AITCofficial/status/1462672986910035968 https://twitter.com/ANI/status/1462668511583473666

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার রাতে, ভোটের প্রচার সেরে ফেরার পথে চৌমুহনীতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার উদ্দেশে সায়নী ঘোষ ‘খেলা হবে’ স্লোগান দেন, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কটু মন্তব্যও করেন। পাশাপাশি সায়নীর গাড়ি একজনকে চাপা দেয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করাতে হয়। এরপর রাতেই সায়নীকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ যায় পোলো হোটেলে। সেখানেই ছিলেন সায়নী-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু রাতে পুলিশের কাছে আইনি নোটিস দাবি করেন তৃণমূল নেতারা। সায়নীকে থানায় নিয়ে যেতে বাধা দেন কুণাল ঘোষ।

রবিবারই শেষে সায়নীকে গ্রেফতার করে ত্রিপুরার পুলিশ। এরপরই দলের পাশে থাকতে রবিবার রাতে ত্রিপুরায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিমান অবতরণের জটিলতায় তাঁর সফর বাতিল করতে হয়। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার সকালে ত্রিপুরা গিয়েছেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে করোনার অজুহাতে পদযাত্রার অনুমতি দেওয়া না হলেও, সেখানে পথসভা করার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। এদিকে, আজ ত্রিপুরা গিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও।

অন্যদিকে, আজ সোমবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে সময় সায়নীর গ্রেফতারির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকেই ফের আক্রমণ করলেন। এদিন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে পাল্টা আক্রমণ করে বলেন যে, ‘ওঁরা ত্রিপুরাকে বাংলা বানাবে। গোয়াকে বাংলা বানাবে, সবাই সেটা মেনে নেবে কেন? মুখ্যমন্ত্রীর সামনে বলছে খেলা হবে! এত হিম্মত কেন হবে? একদম ঠিক কাজ করছে ত্রিপুরা পুলিশ। বাংলায় রোজ আমাদের উপর আক্রমণ হয়, তার কোনও বিচার হয় না। ওখানে ওদের চুনোপুঁটি নেতাদের ইট, পাটকেল মেরেছে তাই খুব কষ্ট।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশ ঠিকই করেছে। ওখানে গিয়ে চমকালে ধমকালে তো এরকমই হবে। এত হিম্মত কী করে হয়? ওঁরা ভেবেছিল বাংলার পুলিশ।কিন্তু ত্রিপুরার পুলিশ ওঁরা। ওটা ডায়মন্ডহারবার বা কোচবিহার নয়।’