শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

আজ নদীয়ার শান্তিপুরে টিকা প্রদান শুরু হল ভোটকর্মীদের

০৮:০৪ পিএম, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১

আজ নদীয়ার শান্তিপুরে টিকা প্রদান শুরু হল ভোটকর্মীদের
নিজস্ব প্রতিনিধি, নদীয়াঃ রাজ্যজুড়ে চলছে করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া। আজ নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছিল করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের কর্মসূচি। বুধবার সকাল থেকেই শান্তিপুর ব্লকের অঙ্গনারী কর্মীদের পাশাপাশি স্কুল শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। প্রথম দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের সঙ্গে ভোটের কাজে যারা থাকবেন সেই স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও তাই ভ্যাকসিন নিতে শান্তিপুর ফুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। এ বিষয়ে ফুলিয়ার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিওএমএইচ ডক্টর পূজা মৈত্র জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত রাজ্যের প্রথমে হেলথকেয়ার, ওয়ার্কারদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। যেমন, হেলথ স্টাফ, অঙ্গনারী কর্মী, যারা কোভিড মোকাবিলায় প্রথম সারিতে থেকে দিনরাত এক করে লড়াই করে গেছেন। আজ তাঁদেরকেই নিয়ম অনুযায়ী, ২৮ দিন পর ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। আজকে শান্তিপুর ব্লকের মোট ৩০০-র বেশি অঙ্গনারী কর্মী, স্কুল শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালেও একই চিত্র দেখা গেছে আজ। জেলার সর্বত্র এই ব্যবস্থা ছিল বলেই জানা গেছে। আজ এই টিকা নিতে আসা এক শিক্ষক জানিয়েছেন যে, নির্বাচনের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি এবং তাঁর মতো অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকাই করোনার টিকা নিয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছেন যে, যারা টিকা নিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন। কারও মধ্যে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। আর একজনের কথায়, আজ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের পাশাপাশি নির্বাচনী বুথে যারা থাকবেন, সেইসব সরকারি কর্মীদের টিকাকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিকে নির্বাচনের আগেই রাজ্যজুড়ে গণটিকাকরণের কাজ শুরু করতে চায় রাজ্য সরকার। সেই কারণেই বিপুল সংখ্যক ভ্যাকসিন কিনতে চায় রাজ্য। উল্লেখ্য, ভোটের আগে রাজ্যে বিনামূল্যে গণটিকাকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই বিষয়েই চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমান সময়ে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত রাজ্য সরকার, স্বভাবতই ভোটের আগে বাংলার সকল নাগরিকের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী দেওয়া চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যেহেতু রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে, তাই সবার আগে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মী এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অবিলম্বে টিকা দেওয়া প্রয়োজন। আর যেহেতু ভোট দিতে অসংখ্য মানুষ বুথে যাবেন, তাই তার আগে যত বেশি সংখ্যক সম্ভব মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সকল মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জানুয়ারি থেকেই দেশব্যাপী ধাপে ধাপে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে সামনের সারির করোনা যোদ্ধাদের। দ্বিতীয় ধাপে ১ মার্চ থেকে দেওয়া হবে করোনা টিকা। আজ তেমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভেরেকর ঘোষণা করেছেন, ১ মার্চ থেকে করোনার দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ শুরু হচ্ছে। ১০ হাজার সরকারি এবং ২০ হাজার বেসরকারি হাসপাতালের মাধ্যমে দেওয়া হবে এই করোনার টিকা। সরকারি ক্ষেত্রে এই টিকা পাওয়া যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তবে, বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে এই টিকা নিতে গেলে দিতে হবে টাকা। সেই হার আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ঠিক করে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভেরেকর জানিয়েছেন যে, এই পর্যায়ে টিকা পাবেন ষাটোর্ধ্ব এবং ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিরা, যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে।