বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

জেগেছে সমুদ্রের ‘ঘুমন্ত’ আগ্নেয়গিরি! সুনামির আশঙ্কায় আমেরিকা-রাশিয়া-জাপানের মতো একাধিক দেশ

০১:২৪ পিএম, জানুয়ারি ১৬, ২০২২

জেগেছে সমুদ্রের ‘ঘুমন্ত’ আগ্নেয়গিরি! সুনামির আশঙ্কায় আমেরিকা-রাশিয়া-জাপানের মতো একাধিক দেশ

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নতুন বছর নানাদিক থেকে বিপদে ভরা। একেই করোনার আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না বিশ্ববাসীর। তার সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই রয়েছে। এবার নতুন বছরের শুরুতেই আরও বড় বিপদের সম্মুখীন বিশ্ব। শনিবার সন্ধেয় আচমকাই ঘুম থেকে জেগে উঠল ওঠে প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে থাকা আগ্নেয়গিরি। তার জেরেই আমেরিকা, রাশিয়া, জাপানের মতো একাধিক দেশের উপকূলবর্তী এলাকায় সুনামির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি এড়াতে উপকূলবর্তী এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সন্ধের সময় উপগ্রহ চিত্রে সেই ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির ভয়ঙ্কর দৃশ্য ধরা পড়ে। দেখা যায়, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে গর্ভে থাকা হাঙ্গা টোঙ্গা হাঙ্গা হোপাই নামে আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে। এরপর আচমকাই শুরু হয় অগ্ন্যুৎপাত। দেখা যায়, চারপাশ কালো ছাই আর ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। আর এই লাভা উদগীরণের জেরে আশপাশের সমুদ্রতলে আলোড়ন তৈরি হয়। যার জেরে টোঙ্গা উপকূল-সহ একাধিক দেশের সুনামির আশঙ্কা করা হয়েছিল।

অন্যদিকে, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শনিবার গভীর রাত থেকে টোঙ্গা উপকূলে উঁচু উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়েছে। একাধিক এলাকায় বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, টোঙ্গার রাজধানী নুকু’আলোফার কাছে প্রায় ৪ ফুট উচ্চতার ঢেউ দেখা গিয়েছে। রাত ১২টা নাগাদ আমামি ওশিমা দ্বীপে সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়ে। সেই সময় ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল প্রায় ৩ ফুট।

https://twitter.com/AbyssChronicles/status/1481954583983312897

এদিকে, রবিবার অর্থাৎ আজ জাপানের মূল ভূখণ্ডে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। তাই ইতিমধ্যে সুমদ্র উপকূল থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত বাসিন্দাদের সুমদ্রের কাছাকাছি যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি এই একই ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া এবং আমেরিকার বিস্তীর্ণ এলাকায়। এছাড়াও আলাস্কা, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে বছরের শুরুতেই বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা কালো মেঘ দেখছে বিশ্ববাসী।