শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

যৌথবাহিনীর বড় জয়! কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে খতম লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ নেতাসহ ৩ জঙ্গি

১১:১৪ এএম, জুন ২১, ২০২১

যৌথবাহিনীর বড় জয়! কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে খতম লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ নেতাসহ ৩ জঙ্গি

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও উত্তপ্ত কাশ্মীর। রাতভর গুলির লড়াইয়ে খতম লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ নেতাসহ ৩ জঙ্গি। নিরাপত্তা বাহিনী, সেনা এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে রবিবার রাতের এনকাউন্টারের জেরে মৃত্যু হয় ওই তিন জঙ্গির। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতদের মধ্যে একজন লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষ কম্যান্ডার মুদাসির পন্ডিতও রয়েছে।

কিছুদিন আগেই উত্তর কাশ্মীরে জঙ্গিরা যৌথবাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছিল। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই রবিবার রাতে বারামুল্লার সোপারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। খবর ছিল, এলাকায় তিন সন্ত্রাসবাদী আত্মগোপন করে আছে। এরপর এই অভিযানেই মৃত্যু হয়েছে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষ কম্যান্ডার মুদাসির পন্ডিত। এই মুসাদির পণ্ডিত একাধিক জঙ্গিমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, ‘মুদাসিরের মৃত্যু স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বড় স্বস্তির খবর। এবার সোপার এলাকায় শান্তি ফিরবে। এই এলাকার যুব সম্প্রদায়ের মগজ ধোলাই করে, তাদের নাশকতামূলক কার্যকলাপে নিয়োগ করত মুদাসির।’

এর পাশাপাশি কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষ কম্যান্ডার মুদাসির পন্ডিত নিহত হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশ এও জানিয়েছে, জঙ্গি সংগঠন লস্করের অন্যতম মাথা ছিল এই ব্যক্তি। সাম্প্রতিককালে কাশ্মীরে সংঘটিত একাধিক অপরাধে নাম জড়িয়েছিল তার। তিন পুলিশ আধিকারিক, দু'জন কাউন্সিলর এবং দু’জন আমজনতাকে হত্যা করেছিল সে। বহুদিন ধরেই তার খোঁজ চালাচ্ছিল যৌথবাহিনী। শেষমেশ রবিবার রাতের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় কাশ্মীরের আতঙ্ক মুদাসির পন্ডিতের।

https://twitter.com/KashmirPolice/status/1406762078132588545

গতকালের এই অভিযানকে ভূস্বর্গে জঙ্গিদমন অভিযানে যৌথবাহিনীর বড় সাফল্য বলেই দাবি করা হচ্ছে। রবিবার গভীর রাতে বারমুল্লা জেলার সোপারে এনকাউন্টার শুরু হয়। ওই এলাকায় এক পাকিস্তানি জঙ্গি-সহ মোট তিনজন সন্ত্রাসবাদী লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল। এরপর সেই সূত্রের খবরের উপরে ভিত্তি করেই, অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে ওই তিনজনকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু জঙ্গিরা সেই নির্দেশ অমান্য করে, যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় যৌথবাহিনীও। রাতভর চলে দুপক্ষের মধ্যে এই গুলির লড়াই। একালাবাসিকে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।

রাতভর গুলির লড়াই চলার পর, সোমবার সকালে তিন সন্ত্রাসবাদীর দেহ উদ্ধার হয়। এদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি জেহাদি। অন্য আরেক জন লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার মুদাসির পন্ডিত বলে কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এখনও এলাকায় তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে।