শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ধসে বন্ধ রাস্তা! বিদ্যুৎ নেই, মোবাইলের চার্জও শেষ, উত্তরাখণ্ডে আটকে হুগলির বেশকয়েকজন বাসিন্দা

০৮:৫২ এএম, অক্টোবর ২১, ২০২১

ধসে বন্ধ রাস্তা! বিদ্যুৎ নেই, মোবাইলের চার্জও শেষ, উত্তরাখণ্ডে আটকে হুগলির বেশকয়েকজন বাসিন্দা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে রীতিমতো বিপাকে হুগলির বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। ভ্রমণের আনন্দ নিতে গিয়ে যে এমন বিপদের মধ্যে পড়বেন, তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি। পুজোর ছুটিতে নৈনিতাল বেড়াতে গিয়ে এই মুহূর্তে সেখানে ধসের কারণে চুঁচুড়া এবং উত্তরপাড়ার বেশ কয়েকজন পর্যটক আটকে পড়েছেন। তাঁদের সঙ্গে ঠিকভাবে যোগাযোগও করতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে তাঁদের উদ্ধার সম্ভব, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিজনেরা।

চুঁচুড়া শ্যামবাবুর ঘাট ও গোরস্থান এলাকার সাতজন বাসিন্দা উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ধসের কারণে আটকে পড়েছেন। গত ১৫ অক্টোবর ট্রেনে হাওড়া থেকে উত্তরাখণ্ড বেড়াতে যান ওই সাত বাঙালি পর্যটক। ১৬ অক্টোবর, তাঁরা নৈনিতাল পৌঁছন। সেখানে দু’দিন কাটিয়ে, তাঁদের ১৮ অক্টোবর, সোমবার কৌশানী যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নৈনিতাল থেকে কৌশানী যাওয়ার পথে ভওয়ালি নামে একটি জায়গায় আটকে পড়েন পর্যটকেরা। তিনদিন ধরে একটি গেস্ট হাউসে তাঁরা আটকে রয়েছেন।

এদিকে এখনও পর্যন্ত খাবারের তেমন কোনও সমস্যা না হলেও সেখানে বিদ্যুৎ নেই। কাজেই মোবাইলেও চার্জ দেওয়া যাচ্ছে না। মোবাইলের চার্জ শেষ। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও সমস্যা হচ্ছে আটকে পড়া পর্যটকদের।

আটকে পড়া পর্যটকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে যে, নৈনিতাল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে তাঁরা এমন এক জায়গায় আটকে রয়েছেন যেখান থেকে কোনোদিকে যাওয়ার কোনও উপায় নেই। রাস্তায় পাহাড় ধসে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। এর সঙ্গে হড়পা বান রয়েছে। পাহাড়ি নালা উপছে হু-হু করে জল নামছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থাকলেও পরিস্থিতি এতোটাই  খারাপ যে, তাঁরা কাজে নামতে পারছেন না। জানা গিয়েছে, ভাওয়ালির কাছে প্রায় ৫০০ গাড়ি আটকে রয়েছে। ধসের কারণে খাবারের ট্রাক রাস্তায় আটকে যাওয়ায়, রসদের সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বেড়াতে গিয়ে দুর্যোগে আটকে পড়া চুঁচুড়ার পর্যটকদের আত্মীয় বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার স্ত্রী, মেয়ে-জামাই, জামাই এর মা ও তাঁর অফিসের তিন সহকর্মী বেড়াতে গিয়েছেন উত্তরাখণ্ডে। যা পরিস্থিতি, দু’এক দিনের মধ্যে তাঁদের উদ্ধার পাওয়ার আশা কম, যদি না হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন আপ্রাণ চেষ্টা করছে, যাতে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকায় ফোনেও যোগাযোগ করতে পারছি না, খুবই চিন্তায় আছি।’

উত্তরপাড়ার মাখলার ঘোষ পরিবারও একইভাবে আটকে পড়েছেন উত্তরাখণ্ডে। নৈনিতাল যাওয়ার পথে আলমোড়া জেলার বিনসরে আটকে আছেন তাঁরা। বিনসর থেকে মমি ঘোষ ফোনে বলেছেন, ‘এই মুহুর্তে বৃষ্টি কমেছে, তবে রাস্তায় ধস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।’ অন্যদিকে, নৈনিতাল জেলার রামনগরে জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কের বিস্তীর্ণ অংশ জলের নীচে।