শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

‘সবে তো শুরু, এবার আসল খেলা হবে’, ত্রিপুরায় প্রধান বিরোধী দল হয়ে টুইটে হুঁশিয়ারি অভিষেকের

০৬:৪৯ পিএম, নভেম্বর ২৮, ২০২১

‘সবে তো শুরু, এবার আসল খেলা হবে’, ত্রিপুরায় প্রধান বিরোধী দল হয়ে টুইটে হুঁশিয়ারি অভিষেকের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২০২৩ সালে রয়েছে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে ফাইনাল পরীক্ষার আগে ত্রিপুরায় অতি সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে পুরভোট। আজ সেই নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হল। এই পুরভোটের ফলাফলের উপর নজর ছিল গোটা দেশের। তৃণমূল কংগ্রেসের আসল লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচন হলেও, তার আগে ত্রিপুরার পুর এবং নগরপালিকা নির্বাচনকে লক্ষ্য করেছে বাংলার শাসকদল। সেই লক্ষ্য পূরণে কিছুটা হলেও, ঘাসফুল শিবির সফল।

পুর ভোটে প্রত্যাশা মতোই ভাল ফল করেছে বিজেপি। ৩৩৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২৯ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে পদ্ম শিবির। তবে, প্রথমবার পুরভোটে লড়াই করে আমবাসায় খাতা খুলেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, বামেদের সরিয়ে পুরো ত্রিপুরা স্থানীয় স্তরে নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এদিকে এই ফলের পরেই টুইটে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটে বলেন, সবে তো শুরু, এবার আসল খেলা হবে। তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া, স্বচ্ছ নির্বাচন হলে, আরও ভাল ফল করত তৃণমূল কংগ্রেস।

রবিবার বিকেলে ত্রিপুরায় পুরভোটের ফল স্পষ্ট হতেই দলের পক্ষ থেকে প্রথম টুইট করেন, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ত্রিপুরার ফলাফলকে তিনি ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। দাবি করেছেন, তৃণমূল ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। কোথাও কোথাও এর চেয়ে বেশি ভোটও এসেছে ঘাসফুল শিবিরের ঝুলিতে।

https://twitter.com/KunalGhoshAgain/status/1464878279542784001

এরপর  টুইট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট বার্তায় লেখেন, ‘তিনমাস ধরে যেভাবে ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর অত্যাচার চালিয়েছে বিজেপি, তারপরও এই ফলাফল ব্যতিক্রমী। ২০ শতাংশ ভোট বড় প্রাপ্তি। আমাদের সৈনিকরা যে সাহসিকতা নিয়ে লড়াই করেছেন, তার জন্য তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন!’ এরপর তিনি বাংলায় সংযোজন করেন – সবে তো শুরু, এবার আসল খেলা হবে।

https://twitter.com/abhishekaitc/status/1464910069506588672

অন্যদিকে, ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূলের নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ত্রিপুরায় স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি। তা হলে আরও বেশি ওয়ার্ডে ঘাসফুলের জয়পতাকা উড়ত। তাঁর মতে, এত বিরোধিতার মধ্যেও যেভাবে তৃণমূল প্রধান বিরোধী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে, তা নিঃসন্দেহে ত্রিপুরার শাসকলের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর মতো। তিনি জানিয়েছেন, এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুরবেন এবং দলীয় কর্মীদের আরও চাঙ্গা করে তুলবেন।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আগরতলা পুরসভা যদি জিততেও না পারে তৃণমূল, তাহলেও তাঁরা যে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে রীতিমতো জাঁকিয়ে বসেছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর সেক্ষেত্রে প্রথম নির্বাচনেই বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসছে তাঁরা। ২০২৩-এর বিধানসভা ভোটের আগে এই নির্বাচন ত্রিপুরায় তৃণমূলের কাছে এই নির্বাচন ছিল কার্যত সেমিফাইনাল। বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের উজার করে দিতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। আর সেই লক্ষ্যে আপাতত তাঁরা অনেকটাই সফল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।