বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সামনেই পুর ভোট। কিন্তু তার আগেই বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে। এই মুহূর্তে ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ হয়ে উঠেছে এই দুই রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক লড়াইয়ে।
এবার বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের এবারের আর্জি ত্রিপুরায় আসন্ন পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ত্রিপুরায় ক্রমাগত তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা হয়েই চলেছে। আর এই হামলার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে মঙ্গলবার মামলার শুনানি শুরু হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রথমে সমস্ত হামলার তালিকা পেশ করেন আইনজীবী জয়দীপ গুপ্তা। ত্রিপুরা সরকারের হয়ে এই মামলা লড়ছেন আইনজীবী মহেশ জেটমালানি। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি ত্রিপুরা সরকারের কাছে কয়েকটি বিষয় জানতে চান। নির্বাচনের দিন, গণনার দিন এবং গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা করা হয়েছে, সে বিষয়ে।
অন্যদিকে, আসন্ন নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্ব কার উপর রয়েছে, কত আধা সেনা এসেছে, আধা সেনার মোতায়েন কীভাবে করা হয়েছে, কতোগুলি সংবেদনশীল এলাকা রয়েছে। উপরিলিখিত সমস্ত বিষয়ে পরিষ্কারভাবে ত্রিপুরা সরকারের কাছে তথ্য চান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
এরপরই তৃণমূলের আইনজীবী জানান, আদালতই নির্দেশ দিয়েছিল ত্রিপুরা সরকারকে সুস্থভাবে এবং যথাযথভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। পাশাপাশি বিরোধীদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনী প্রচারেও নিরাপত্তা দিতে হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, আদালতের নির্দেশ পরেও বিরোধীদের উপর আক্রমণ হয়েছে। পাশাপাশি সায়নী ঘোষের উপর আক্রমণের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। আক্রমণের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরাও। তবে, শুধুমাত্র অভিযোগ করাই নয়, তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিটা ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ভিডিও এবং ছবিও আদালতে পেশ করা হয়।
এরপরই ত্রিপুরায় ভোট পিছনোর দাবি করেন তৃণমূলের আইনজীবী। তাঁর দাবিতে বলেন, এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় ভোটের পরিবেশ নেই। যদিও তৃণমূলের এই দাবির বিরোধিতা করেন ত্রিপুরা সরকারের আইনজীবী মহেশ জেটমালানি।
তিনি পাল্টা দাবিতে বলেন যে, সরকারের তরফে অপরাধীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি কারণ, সেগুলো খুবই ছোট এবং সামান্য ঘটনা। আদালত সূত্রে খবর, ত্রিপুরা সরকারের তরফে আদালতে যাই সাফাই দেওয়া হোক না কেন, সেই দাবিতে একেবারেই খুশি হননি বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এরপরই তিনি রাজ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট সরকারকে জানাতে নির্দেশ দেন।