বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

দল বিরোধী কাজের অভিযোগে বহিস্কৃত দুই তৃণমূল নেতা

১০:৪৬ পিএম, মে ৮, ২০২১

দল বিরোধী কাজের অভিযোগে বহিস্কৃত দুই তৃণমূল নেতা

দলে থেকে দল বিরোধী কাজ করলে তাকে সোজাসুজি বহিষ্কার করবে দল। নির্বাচনের অনেক আগেই এই বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনমতেই দল বিরোধী কাজ করছেন এমন কর্মীদের দলে রাখা হবে না বলে সাফ জানিয়ে ছিলেন তিনি। এরপর তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মসনদে বসে সেই প্রক্রিয়া আবার শুরু করল তৃণমূল। এবার দল বিরোধী কাজ এবং তলে তলে বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগে এনে বহিস্কৃত করা হল খেজুরির প্রাক্তন বিধায়ক রঞ্জিত মণ্ডল ও মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারীকে।

এবারের নির্বাচনে দক্ষিণবঙ্গে বেশ ভালো ফল করেছে তৃণমূল। তবে ৭ টি আসন সেখানে দখলে রেখেছে গেরুয়া শিবির। এরপরে কি কারনে এই আসন হারাতে হলো তা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করতে বসেই উঠে আসে এই দুই ব্যক্তির নাম। দল বুঝতে পারে এই দুজন দলে থেকেই দল বিরোধী কাজ করছেন। তারপরেই তড়িঘড়ি শুরু হয়েছে তাদের বহিষ্কার করার প্রক্রিয়া।

তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করে জানানো হয়, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে রণজিৎ মণ্ডল ও আনন্দময় অধিকারী। এই প্রসঙ্গে রণজিৎ মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া না মিললেও, দল নোটিস দিলে জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন আনন্দময় অধিকারী।  তবে পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র জানিয়েছেন, আনন্দময়বাবু নিজে পদত্যাগ না করলে তাঁকে অনাস্থা সরানো হবে।

প্রসঙ্গত, রণজিৎ মন্ডল এবং আনন্দময় অধিকারী দু’জনেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে পরিচিত। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনার মধ্যেই তাঁর একাধিক কর্মসূচিতে দেখা গেছে এই দুই নেতাকে। এদিকে এই দুই তৃণমূল নেতার গড় খেজুরি এবং হলদিয়াতে বিজেপির কাছে আসন হারিয়েছে তৃণমূল। এরপর এই দলের সন্দেহ হওয়াতে হারের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক বসে। সেখানেই এই দুই ব্যক্তিকে তোলা হয় কাঠ গড়ায়। তারপরে তাদের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় এই দুজনকে। তবে এই বহিষ্কারের তালিকা আরও লম্বা বলে জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। একে একে দলে থেকেও যারা দল বিরোধী কাজ করছেন তাদের চিহ্নিত করে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির।