ফের আতঙ্ক যোগী রাজ্যে। এবার ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের হারদোই জেলা। সেখানে দিনে-দুপুরে নিজের মেয়ের মাথা কেটে তা হাতে ঝুলিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন এক ব্যক্তি। যা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। গত বুধবার দুপুরে এমনই এক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্যক্তিটির নাম সরভেশ কুমার। লখনউ থেকে ২০০ কিমি দূরে পান্দেতারা গ্রামে তাঁর বাড়ি। তিনি নিজেই তাঁর ১৭ বছরের কন্যা সন্তানের মাথা কেটে, হাতে নিয়ে থানার দিকে যাচ্ছিলেন। কারণ, মেয়ের সম্পর্কের কারণে তিনি বেশ অসন্তুষ্ট ছিলেন। তাই বিরক্ত হয়েই এই কাণ্ড তিনি ঘটিয়েছেন। যদিও তাতে তাঁর কোনও অনুতাপ নেই।
কাটা মাথা হাতে ঝুলিয়ে পুলিশ স্টেশনে যাওয়ার সময়ই দু'জন পুলিশকর্মী পথ আটকান সরভেশের। তারপর তাঁকে প্রশ্ন করতেই নির্বিকার চিত্তে সমস্ত উত্তর দেন ওই ব্যক্তি। পুরো ঘটনাটির ভিডিও তুলে রাখেন ওই দুই পুলিশকর্মী। সরভেশ নিজেই স্বীকার করেন, ঘরের দরজা বন্ধ করে একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়ের মাথা কেটে ফেলেছেন তিনি। বাকি দেহাংশ ঘরের মধ্যেই পড়ে আছে। এরপর মেয়ের কাটা মাথা হাতে ঝুলিয়ে তিনি চলেছেন থানায়।
[embed]https://twitter.com/ANINewsUP/status/1367134736808730625[/embed]ভয়ানক ঘটনাটি জানার পর রাস্তাতেই সরভেশকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় কাটা মাথাটিও। যদিও ধরা পড়ে কোনও প্রতিবাদ করেননি সরভেশ। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে, কাটা মাথাটি উদ্ধারের পর এক পুলিশকর্মী সেটিকে আপত্তিজনক ভাবে হাতে ঝুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই প্রশাসনের তরফে তাঁকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।