বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গুরুতর অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সরকারি হাসপাতালে মেয়ের জন্মের পর থেকে অসুস্থ মা। বহু চিকিৎসকের দরজায় দরজায় ঘুরলেও, সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। উল্টে ধীরে ধীরে শারীরিক সমস্যা আরও বাড়তে শুরু করেছে। বহুদিন ধরে হয়ে চলা পেটের ব্যথার কোনও সমাধান হয়নি। কোনও ওষুধেই কমেনি পেটের ব্যথা।
অবশেষে সিটি স্ক্যান করাতেই বেরিয়ে পড়ল পেটে ব্যথার আসল কারণ। সিটি স্ক্যানের রিপোর্টে দেখা গেল, পেটের ভিতরে রয়েছে এক টুকরো কাপড়। বর্তমানে ওই মহিলার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তাঁকে রাখা হয়েছে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে। অন্যদিকে, হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠল চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ।
চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের কিং জর্জ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিই মাসে রামপুরের বাসিন্দা মনোজ তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী নিলমকে উক্ত হাসপাতালে ভর্তি করান। এরপর ৬ জানুয়ারি নিলমের সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। প্রথমে সবকিছু ঠিক থাকলেও, বাড়ি ফিরেও পেটে ব্যথা থেকেই যায় নিলমের। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও, নিলমের পেটে ব্যথা কমার বদলে বাড়তে শুরু করায়, বিভিন্ন চিকিৎসকের দারস্থ হন মনোজ ও তাঁর স্ত্রী। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি কোথাও।
শেষে শাহজাহানপুরে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় নিলমকে। সেখানে সিটি স্ক্যান করাতেই সামনে আসে পেটে ব্যথার আসল কারণ। দেখা যায়, পেটের মধ্যে এক টুকরো কাপড় রয়ে গিয়েছে। দেরি না করে, সঙ্গে সঙ্গে তা অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে লখনউ ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। জানা গিয়েছে, সেখানে বর্তমানে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন নিলম।
এদিকে এই ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ পেতেই কিং জর্জ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ রাজেশ কুমার তিন সদস্যের একটি তদন্তকারী দল গঠন করেন এবং দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রিপোর্টের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।