মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

তালিব জঙ্গিদের অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা! যুদ্ধবিমানে বসে দোল খাচ্ছে জঙ্গি, ভাইরাল ভিডিও

০৪:২৬ পিএম, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১

তালিব জঙ্গিদের অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা! যুদ্ধবিমানে বসে দোল খাচ্ছে জঙ্গি, ভাইরাল ভিডিও

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান। বিগত কয়েকদিন ধরে এই তালিবান জঙ্গিদের নানা অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। কখনও হেলিকপ্টারে দড়ি বেঁধে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা গিয়েছে কোনও তালিব জঙ্গিকে, আবার কখনও কাবুলের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের গদিআঁটা চেয়ারে নোংরা পা তুলে বসতে দেখা গিয়েছে তালিব জঙ্গিদের। এবারও তেমনই এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট মাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, আমেরিকার ফেলে যাওয়া যুদ্ধ বিমানের ডানা থেকে দড়ি ঝুলিয়ে তৈরি দোলনায় প্রবল উচ্ছ্বাসের সঙ্গে দোল খাচ্ছে জঙ্গিরা। মুহূর্তের মধ্যেই এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, যুদ্ধবিমানের ডানা থেকে দড়ি ঝুলিয়ে দোলনা তৈরি করা হয়েছে। আর তাতে ছোট শিশুদের মতো প্রবল উচ্ছ্বাসের সঙ্গে সেই দোলনায় বসে দুলছে এক জঙ্গি। তাকে পিছন থেকে অতি উৎসাহের সঙ্গে দোল দিচ্ছে তার সঙ্গীরা। দাঁড়িয়ে থাকা জেহাদিরাও মেতে উঠেছে আনন্দে।

তালিবানদের এই ধরনের কার্যকলাপে স্বভাবতই অবাক নেটদুনিয়া। জানা গিয়েছে, যুদ্ধবিমানগুলি আফগান বায়ুসেনার। আপাতত সেগুলি বাতিল হয়ে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পড়ে রয়েছে। আর এককালের ভয়াবহ হাতিয়ারগুলিই এখন হয়ে উঠেছে তালিবান জঙ্গিদের খেলনা।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার আদিত্য রাজ কৌল নামে এক সাংবাদিকের ক্যামেরায় ধরা পড়ে তালিবানের ওই কাণ্ড। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি শেয়ার করতেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়। এক নেটিজেন ঠাট্টা করে লেখেন, ‘শৈশবেই ওদের হতে বন্দুক ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই এখন শৈশব উপভোগ করতে চাইছে তারা।’ একজন আবার সাবধান করেছেন, ‘ওদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করার আগে ভাবুন। যে দুলছে, সেই হয়তো ভবিষ্যতে দেশের মন্ত্রী হবে।’

এদিকে, তালিবানের দোল খাওয়ার ভিডিওটি শেয়ার করে আমেরিকাকে কটাক্ষ করেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘সাম্রাজ্যের বধ্যভূমিতে তাদের হাতিয়ারকে খেলনায় পরিণত করেছে তালিবান।’

https://twitter.com/zlj517/status/1435935034951696391

উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে দেশ ছাড়ার আগে কাবুল বিমানবন্দরে অন্তত ৭৩টি সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার অকেজো করে রেখে যায় মার্কিন ফৌজ। মজার-ই-শরিফ ও কান্দাহারের বায়ুসেনা ঘাঁটিতেও অনেক যুদ্ধবিমানের মরচে ধরা কঙ্কাল রয়েছে।