বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

করোনা আবহের মধ্যেও চলছে গ্রাম-বাংলার প্রাচীন এই গাজন উৎসব! বাড়ছে সংক্রমণের ভয়ও

০৩:০২ পিএম, এপ্রিল ১৩, ২০২১

করোনা আবহের মধ্যেও চলছে গ্রাম-বাংলার প্রাচীন এই গাজন উৎসব! বাড়ছে সংক্রমণের ভয়ও

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর দেশে হুহু করে বাড়ছে সংক্রমণের দাপট! পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জন। করোনা হাসপাতালে ১২ জন ভর্তি রয়েছেন। এই অতিমারী পরিস্থিতিতেও কিন্তু বন্ধ হয়নি গ্রাম বাংলার চড়ক-গাজনের মেলা৷ বরং করোনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই ধুমধাম করে চলছে গাজনের পুজো ও মেলা।

[caption id="attachment_10336" align="alignnone" width="1440"]গঙ্গাটিকুড়ির গাজন গঙ্গাটিকুড়ির গাজন[/caption]

করোনার আবহে গত বছর বর্ধমান বা নদীয়া জেলাতে বন্ধ ছিল চড়ক বা গাজন উৎসব। কিন্তু চলতি বছরে ফের লোক জমায়েত করেই ধুমধাম করে চলছে পুজো৷ উৎসবকে কেন্দ্র করে বসছে মেলা। উত্তরোত্তর বাড়ছে ভীড়ও৷ তবে লক্ষ্যনীয় কারোর মুখেই কিন্তু মাস্ক নেই। নেই সংক্রমণের কোনও চিন্তাও৷ দেখলে মনে হবে করোনা যেন কবেই বিদায় নিয়েছে দেশ ছেড়ে।

[embed]https://www.youtube.com/watch?v=e4-3S4tpCYw[/embed]

বর্ধমানের কুরমুনেও এবছর ধুমধাম করে হচ্ছে গাজনের উৎসব। সেখানে মরার মাথা নিয়ে ভয়ঙ্কর সব খেলা দেখানো চলছে। যা দেখতে পিলপিল করে বাড়ছে ভীড়। মোবাইলে ছবি তোলার পাশাপাশি গা-ঘেঁষাঘেষি করেই দাঁড়িয়ে হাজারো মানুষ। অবশ্য মাস্ক ছাড়াই। অন্যদিকে নদীয়া জেলাতেও শুরু হয়েছে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে চড়কের পুজো। বাচ্চা থেকে বুড়ো প্রায় সকলেই জমা হচ্ছেন পুজো দেখতে৷ কিন্তু প্রত্যেককে দেখেই মনে হচ্ছে সংক্রমণের বিন্দুমাত্র ভয় নেই তাদের।

[caption id="attachment_10337" align="alignnone" width="1200"]তাইপুরের গাজন তাইপুরের গাজন[/caption]

অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। খুব বেশি ভীড় বা বেশি লোক জমায়েতে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে৷ পাশাপাশি করোনা নিয়ম বিধি মানার সঙ্গেই মাস্ক ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবু সচেতনতার অভাবে মাস্ক পরতে অনীহা দেখাচ্ছেন বহু মানুষই। মাস্ক ছাড়াই পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। জমাচ্ছেন ভীড়ও৷ যা ফলাফলে নিজের এবং আশেপাশের মানুষের জন্য ডেকে আনছেন বিপদ। এই পরিস্থিতিতে গাজন বা চড়কের মেলার জমায়েতও বেশ আশংকাজনক। এর ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেও যে বেশি সময় লাগবে না, তা তো বলাই বাহুল্য!