
বংনিউজ২৪x৭ডিজিটাল ডেস্কঃ আগে থেকেই জল্পনা চলছিল, পদ্ম শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন বাংলার ‘মিঠুনদা’। ব্রিগেডের সভায় থাকবেন। সেইসব জল্পনা যে সত্যি, তা কালকের ব্রিগেডের জনসভা থেকেই স্পষ্ট। বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে নাম লেখালেন পদ্ম শিবিরে।
আর এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে ‘মিঠুনদা’কে নিয়ে একাধিক মিম। যার মূল বক্তব্য, ‘একজন ভালো অভিনেতা সব পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করেন’। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর রাজনৈতিক কেরিয়ারের বিভিন্ন সময়ের নানা টুকরো টুকরো ছবি। যার মধ্যে কখনও তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে দেখা গিয়েছে, কখনও তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এছাড়া কালকের মোদীর ব্রিগেডের সভায় মিঠুন চক্রবর্তীর একাধিক ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
Mithunda will show how many more games#mithunchakraborty#ModirSatheBrigade pic.twitter.com/0dF5SSJLgL
— जय जगन्नाथ (@jagannathd19) March 7, 2021
Happy Memories of the past #mithunchakraborty pic.twitter.com/vYc4Bz8ZgX
— হঠাৎ যদি উঠলো কথা (@HothatK) March 7, 2021
#ModirSatheBrigade #mithunchakraborty
From communist to nationalist Mithun Da rn : pic.twitter.com/wLVqWvbVRe
— 🆁🅸🆂🅷🅰🅱🅷 ⍟ (@rishabh_memes) March 7, 2021
Just RANDom 🤭 #mithunchakraborty pic.twitter.com/nbQi685GMw
— Indian Castro🛡 (@Mr_Singh86_) March 7, 2021
#mithunchakraborty
Disco dance is not good in politics … pic.twitter.com/HqFdCIVen1— Believe in yourself!!! (@iamKLVR) March 5, 2021
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সত্তরের দশকে নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। পরবর্তীকালে বলিউডে পাড়ি দেন তিনি। এরপর মুম্বইতে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হলে, বালাসাহেব ঠাকরের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। বালাসাহেব ঠাকরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠলেও, পশ্চিমবঙ্গে বাম সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। জ্যোতি বসুর পাশাপাশি ওই সময় বামেদের প্রথম সারির নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর সঙ্গেও মিঠুন চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠতা লক্ষ করা গেছে।
এরপর শুরু হয় মিঠুন চক্রবর্তীর রাজনৈতিক জীবনে এক নতুন অধ্যায়। বাম জামানা শেষের পর, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে রাজ্যসভার সাংসদও হন। কিন্তু সারদা কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর, সমস্ত অর্থ ফেরত দিয়ে, সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন মিঠুন চক্রবর্তী। রাজনীতির ময়দান থেকে নিজেকে কার্যত সরিয়ে নেন তিনি। অন্তরালে চলে যান একপ্রকার। শুধু তাই নয়, বাংলার সঙ্গেও প্রায় সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন তিনি। এবার বিজেপি’র হাত ধরে ফের একবার বাংলায় ফিরলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
রাজনৈতিক জীবনে কখনও বাম, কখনও তৃণমূল আর এবার বিজেপি। এ পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তীঁর রাজনৈতিক জীবনে সব দলের অন্দরেই তাঁর প্রবেশ ঘটেছে, আবার প্রস্থানও হয়েছে। লেগেছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের রং। তাই তো লাল থেকে সবুজ হয়ে এখন গেরুয়া রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়েছেন। এসব কিন্তু কোনটাই নজর এড়ায়নি নেটিজেনদের। তাঁদের কথায়, ‘একজন ভালো অভিনেতা সব পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করেন’।