বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

মুম্বইয়ের কলেজের প্রাক্তন ইংরেজির অধ্যাপক আজ অটো চালক! ভাইরাল নেটদুনিয়ায়

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২২, ০৭:১৭ পিএম | আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২২, ০১:১৭ এএম

মুম্বইয়ের কলেজের প্রাক্তন ইংরেজির অধ্যাপক আজ অটো চালক! ভাইরাল নেটদুনিয়ায়
মুম্বইয়ের কলেজের প্রাক্তন ইংরেজির অধ্যাপক আজ অটো চালক! ভাইরাল নেটদুনিয়ায়

একসময় মুম্বইয়ের এক কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন তিনি। কিন্তু আজ তিনি এক অটো চালক। বেঙ্গালুরুর রাস্তায় অটো চালিয়ে দিন গুজরান হয় তাঁর। প্রায় ১৪ বছর ধরে বেঙ্গালুরুতে অটো চালাচ্ছেন ওই প্রাক্তন অধ্যাপক। আর তাঁর জীবন কাহিনীই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন নিকিতা আইয়ার নামে এক তরুণী। সে কাহিনী এখন রীতিমতো ভাইরাল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নিকিতা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো তিনি যখন কাজে যাওয়ার জন্য গাড়ির অপেক্ষা করছিলেন, তখন তাঁর চিন্তিত মুখ দেখে একজন অটোচালক এগিয়ে আসেন। তিনি এসেই ইংরেজিতে প্রশ্ন করেন তরুণীটি কোথায় যাবেন! তা শুনে প্রথমে কিছুটা অবাক হলেও পরে সেই অটোতেই ওঠেন নিকিতা। এরপরই দু‍‍`জনে কথাবার্তা শুরু করেন। তখনই নিকিতা জানতে পারেন, অটো চালক আদতে একজন ইংরেজির প্রাক্তন অধ্যাপক।

অটোচালকটি নিকিতাকে জানান, তিনি আদতে কর্ণাটকেরই বাসিন্দা। কিন্তু সেখানে কোনও চাকরি না পেয়ে মুম্বই চলে যান। মুম্বইয়ের একটি কলেজে দীর্ঘ ২০ বছর ইংরেজির অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। পরে ৬০ বছর বয়সে রিটায়ার হওয়ার পর ফিরে আসেন বেঙ্গালুরুতে। এরপরই যখন নিকিতা প্রশ্ন করেন, তিনি কেন অটো চালাচ্ছেন? তখন পরবর্তী কাহিনী তুলে ধরেন ৭৪ বছরের ওই বৃদ্ধ।

তিনি জানান,  শিক্ষক হিসাবে তিনি মাসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করতেন। যেহেতু সেটি ছিল একটি প্রাইভেট ইন্সটিটিউশন। ফলে তিনি কোনও পেনশনও পাননি। কিন্তু, বেঙ্গালুরুতে ফিরেও তিনি মনের মতো কোনও কাজ খুঁজে পাননি। তাই অটো চালাতে শুরু করেন। অটো চালিয়ে তিনি এখন দিনে প্রায় ৭০০ টাকা থেকে ১৫০০  টাকা পর্যন্ত আয় করেন। এভাবেই প্রায় ১৬ বছর ধরে অটো চালিয়ে দিন কাটছে তাঁর। বৃদ্ধটি আরও জানান, এই আয় তাঁর এবং তাঁর গার্লফ্রেন্ডের জন্য যথেষ্ট। এখানে বলে রাখি, তিনি আসলে নিজের স্ত্রীকেই গার্লফ্রেন্ড বলেই ডাকেন।

বৃদ্ধের এই কাহিনীই  Linkedin -এ তুলে ধরেছেন নিকিতা৷ জানা গিয়েছে, ওই প্রাক্তন অধ্যাপক তথা অটোচালকের নাম পাতাবি রমণ। আর তাঁর কাহিনী এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে উঠেছে। সকলেই বৃদ্ধের মানসিক জোর ও দৃঢ়তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।