শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যেত পড়ুয়া! সোশ্যাল মিডিয়ায় দৌলতে এবার ফিরে পেল ‍‍`পা‍‍`

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২, ০৫:৫১ পিএম | আপডেট: মে ২৮, ২০২২, ১১:৫১ পিএম

এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যেত পড়ুয়া! সোশ্যাল মিডিয়ায় দৌলতে এবার ফিরে পেল ‍‍`পা‍‍`
এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যেত পড়ুয়া! সোশ্যাল মিডিয়ায় দৌলতে এবার ফিরে পেল ‍‍`পা‍‍`

বিহারের জামুই জেলার বাসিন্দা ছোট্ট সীমার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? দিন কয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল যার কাহিনী! বছর দশেকের এই বালিকার একটি পা নেই। কিন্তু তাতে কী! অদম্য ইচ্ছেশক্তিতে ভর করেই এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে প্রতিদিন এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত স্কুলে যাতায়াত করে সে। তার এই জীবন কথা নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মাত্রই খুদে এই পড়ুয়াকে কুর্নিশ জানিয়েছিল সকলে।

এবার সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই নিজের ‍‍`পা‍‍` ফিরে পেল সীমা। সম্প্রতি সীমার এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হতেই বদলে গেল ওই বালিকা জীবন। সীমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন জামুই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অবনীশ কুমার এবং আরও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সীমার কাহিনী জানতে পেরেই স্কুলে যাতায়াতের সুবিধার জন্য তাকে একটি ট্রাই সাইকেল উপহার দেন জামুই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অবনীশ কুমার সহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মী। এমনকি অভিনেতা সোনু সুদও খুদে পড়ুয়াটিকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন।

আজ সকালেই আইপিএস স্বাতী লাকড়া ট্যুইটারে একটি ছবি শেয়ার করেন। যেখানে সীমাকে কৃত্রিম পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে, আইএএস অবনীশ শরণও সীমার ছবি শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রশংসা করেন। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‍‍`এটাই সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতা!‍‍` সত্যিই তো! সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যেই যে ফের নিজের ‍‍`পা‍‍`-এর মাধ্যমে হাঁটতে পারবে সীমা।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে সীমার যে ভিডিও ভাইরাল হয়, সেখানে দেখা গিয়েছিল কীভাবে সাহসে ভর করে এক পায়ে লাফাতে লাফাতে স্কুলে যাচ্ছে সে। তার এই ভিডিও চোখে জল এনে দিয়েছিল নেটিজেনদের। জানা গিয়েছিল, দু‍‍`বছর আগে ভয়ঙ্কর এক দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ছোট্ট। একটি ট্রাক্টরের চাকার নীচে পড়ে এক বাদ যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে ভেঙে পড়েনি। বরং অদম্য সাহস ও মনোবলকে সম্বল করেই শত বাধা-বিপত্তি জয় করে স্কুলে যাতায়াত করে সে। আপাতত নতুন ‍‍`পা‍‍` পেয়ে সে উচ্ছ্বসিত! তাঁর এখন একটাই লক্ষ্য, বড় হয়ে শিক্ষক হয়ে সকলকে শিক্ষাদান করার।