মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

বাবা দোকান চালান! ৫০ লাখ বেতনের চাকরি পেয়ে চমকে দিলেন ছেলে

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২২, ০১:৫৫ পিএম | আপডেট: আগস্ট ৬, ২০২২, ০৭:৫৫ পিএম

বাবা দোকান চালান! ৫০ লাখ বেতনের চাকরি পেয়ে চমকে দিলেন ছেলে
বাবা দোকান চালান! ৫০ লাখ বেতনের চাকরি পেয়ে চমকে দিলেন ছেলে

বাবা দোকানদার। ছোট্ট একটা দোকান চালিয়েই কোনওমতে সংসার চালান তিনি। মা গৃহবধূ। সেই পরিবারের ছেলেই এবার পেলেন ৫০ লাখ বেতনের চাকরি! মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও নিজের স্বপ্নকে সত্যি করে দেখালেন হরিয়ানার আম্বালা ক্যান্টনমেন্টের বি-টেক পড়ুয়া মধুর রাখেজা।

সম্প্রতি অন ক্যাম্পাস ক্যাম্পাসিংয়ে মাইক্রোসফটে (Microsoft) ৫০ লাখ বেতনের চাকরি পেয়েছেন মধুর। শুধু মাইক্রোসফটই নয়, আরও একাধিক বহুজাতিক সংস্থা থেকে চাকরির অফার পেয়েছিলেন তিনি। যার মধ্যে অন্যতম  Amazon, Cognizant এবং Optum-এর মতো সংস্থা। তবে মধুর শেষ পর্যন্ত বেছে নেন Microsoft কেই।

ছেলেবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ ছিল মধুরের। সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ছে ততই এই বিষয়ে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন মধুর। তাই বি-টেক পড়াকেই বেছে নিয়েছিলেন। চেয়েছিলেন বিশ্বের প্রযুক্তিমহলের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে। মাইক্রোসফটের হাত ধরে সেই স্বপ্নই যেন পূরণ হল মধুরের।

মধুরের কথায়, "আমি বুঝেছি প্রযুক্তিই মানুষের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহারও ক্রমেই বাড়বে। প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ জীবনকে পাল্টে দেওয়ার এবং প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে। তাই ছোটো থেকেই আমার প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ। আর সেই কারণেই আমি প্রযুক্তির অংশ হতে চেয়েছিলাম। মাইক্রোসফটের হাত ধরে আমার সেই লক্ষ্য এবার পূরণ হতে চলেছে।"

কিন্তু এত চাকরির অফার থাকতে মাইক্রোসফটকেই কেন বেছে নিলেন মধুর? তাঁর কথায়, "একাধিক বহুজাতিক সংস্থা থেকে চাকরির অফার এলেও আমি মাইক্রোসফটকেই বেছে নিয়েছি। আমি Optum এবং Cognizant থেকে ফুলটাইম চাকরির অফার পেয়েছিলাম। ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টের অংশ হিসেবে Amazon থেকে একটি ইন্টার্নশিপ অফারও পেয়েছিলাম। আবার ইন্টার্নশিপে আমার পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে, অ্যামাজনে ফুল-টাইম অফারও পাই। তাও আমি মাইক্রোসফটকেই বেছে নিয়েছি। কাজের সময়, কাজের পরিবেশ এবং উচ্চ বেতনের কথা মাথায় রেখেই আমি এই সংস্থাকে বেছে নিই।"

বলাই বাহুল্য, ছেলের এই সাফল্যে রীতিমত উচ্ছ্বসিত বাবা-মা। খুশি আত্নীয়-স্বজন-প্রতিবেশীরাও। মধুরের বাবা জানিয়েছেন, "ও ছেলেবেলা থেকেই মেধাবী। তাই আর্থিক অনটন সত্ত্বেও ওর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আজ আমাদের স্বপ্নও পূরণ হয়েছে।" আপাতত নিজের স্বপ্নের মাইক্রোসফট অফিসে যোগদানের অপেক্ষায় দিন গুনছেন মধুর। খুব তাড়াতাড়িই চাকরির জন্য ব্যাঙ্গালুরুতে পাড়ি দেবেন তিনি৷