বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বছর ৫০-এর কোঠায়! মেয়ের উৎসাহে বদলে গেল জীবন, ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মা

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২২, ০৬:৫২ পিএম | আপডেট: ডিসেম্বর ১৫, ২০২২, ১২:৫২ এএম

বছর ৫০-এর কোঠায়! মেয়ের উৎসাহে বদলে গেল জীবন, ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মা
বছর ৫০-এর কোঠায়! মেয়ের উৎসাহে বদলে গেল জীবন, ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মা

দ্বিতীয় বারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মা। শুরু করলেন জীবনের নতুন অধ্যায়। আর নিজের হাতে বিয়ের দায়িত্ব সামলালেন মেয়ে। সচরাচর এমন দৃশ্য খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু সম্প্রতি ভাইরাল হল এমনই এক মা-মেয়ের কাহিনী। যা শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন নেটিজেনরাও।

সেই কোন ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর একাকী জীবন ছিল মায়ের। পড়াশুনা, চাকরি সবকিছু করতে গিয়ে মা’কে দেওয়ার মত ন্যুনতম সময়টুকু পাচ্ছিলেন না মেয়ে। বাড়িতে বসে একাকীত্ব জীবন মাকে গ্রাস করতে বসেছিল। সেখান থেকে মাকে মুক্তির স্বাদ এনে দিলেন মেয়ে। ফের বিয়ে দিলেন মায়ের।

জানা গিয়েছে, শিলংয়ের বাসিন্দা দেবারতি চক্রবর্তী সম্প্রতি মা মৌসুমী চক্রবর্তীর বিয়ে দেন। দেবারতীর বাবা ছিলেন পেশায় একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক। শৈশবেই তিনি মারা যান। তখন তার মায়ের বয়সও অনেক কম। মেয়েকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেন তিনি। বাবা মারা যাওয়ার পর মা একাই থাকতেন। মেয়ে অনেকবার মাকে বিয়ে করতে বলে। অবশেষে মেয়ের জেদের কাছে মা’কে হার মানতেই হয়। শেষ পর্যন্ত ৫০ বছর বয়সে নতুন জীবনে পা দেন মা। আর মাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে দিয়ে নজির গড়লেন দেবারতী।

মায়ের এই দ্বিতীয়বার বিয়ের সিদ্ধান্তে মেয়ের খুশি স্পষ্ট। তাঁর কথায়, ‘আমি সব সময়ই চেয়েছিলাম আমার মা নিজের জন্য একজন জীবনসঙ্গী খুঁজে নিন, কিন্তু তিনি আমাকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। বাবার মৃত্যুর সম্পত্তি পারিবারিক বিবাদের জেরে মা আমাকে নিয়ে মামার বাড়ি চলে আসেন সেখানে টিউশন পড়িয়ে মা আমাকে মানুষ করেন, মাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে রাজি করতে অনেক সময় লেগেছে। এরপর এ বছরই মা বিয়েতে রাজি হন। এতে আমি খুবই খুশি।"

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কাহিনী শেয়ার হতেই নেটিজেনরা শুভকামনায় ভরিয়ে দিয়েছেন মা-মেয়েকে। আসলে জীবন তো একটাই। তা আনন্দে, ভালবাসায় তা কাটানো উচিৎ। কিন্তু সমাজের চাপে মহিলাদের পক্ষে অনেকক্ষেত্রেই তা সম্ভব হয় না। কিন্তু এই মা-মেয়ে তা সম্ভব করে দেখিয়েছেন। তাদের এমন সাহসী পদক্ষেপকে তাই কুর্নিশও জানিয়েছেন সমাজের নানা স্তরের মানুষজন।