শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

‍‍`বাবা-মা‍‍`কে জানিও না আমার ক্যান্সার‍‍`, শিশুপুত্রের আবদার শুনে চোখ ভিজল চিকিৎসকের

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৯:৪৩ পিএম | আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৩, ১২:১৭ পিএম

‍‍`বাবা-মা‍‍`কে জানিও না আমার ক্যান্সার‍‍`, শিশুপুত্রের আবদার শুনে চোখ ভিজল চিকিৎসকের
‍‍`বাবা-মা‍‍`কে জানিও না আমার ক্যান্সার‍‍`, শিশুপুত্রের আবদার শুনে চোখ ভিজল চিকিৎসকের

কথায় বলে, শিশুরা নাকি ঈশ্বরেরই অপর রূপ৷ তাদের নিষ্পাপ মনে নেই কোনও জটিলতা৷ যে কোনও বিষয়কে সহজ সরল করেই ভাবতে ভালোবাসে তারা। তাই শিশুরা অনায়াসেই যে কারোরই মন জয় করে ফেলতে পারে। তবে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এমনই এক শিশুর কাহিনী, যা শুনলে চোখ ভিজে উঠতে বাধ্য!

বয়স মাত্র ৬ বছর৷ আর এই বয়সেই দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত সে৷ বাঁচার সম্ভাবনাও খুব ক্ষীণ। কিন্তু নিজের সেই রোগের কথা কিছুতেই বাবা-মা‍‍`কে জানাতে চায় না সে৷ তাই চিকিৎসকের কাছে বাচ্চা ছেলেটির আবদার, তার ক্যান্সারের কথা যেন মা-বাবা‍‍`কে কিছুতেই জানানো না হয়।

পুরো ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন হায়দ্রাবাদের অ্যাপোলো হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট ডাঃ সুধীর কুমার। তিনি লিখেছেন, ‘এক দম্পতি ওপিডিতে এসে বলেন তাদের একমাত্র ছেলে মনু বাইরে অপেক্ষা করছে। তার ক্যান্সার হয়েছে। দম্পতি অনুরোধ করেন যে তারা চান না যে তারা ছেলে জানুক যে তার ক্যান্সার হয়েছে। দম্পতি আবেগপ্রবণ হয়ে চিকিৎসককে অনুরোধ করেন, ‘দয়া করে ছেলের চিকিৎসা করুন’।

এরপরই মনুর সঙ্গে দেখা হয় ডাঃ সুধীর কুমারের। আর তাঁকে অবাক করে দিয়ে মনু বলে, বাবা-মা যখন চিকিৎসককে সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখনই সে গোপনে সবটা শুনেছে। সে আইপ্যাডে এই রোগ সম্পর্কে পড়েছে এবং জানে যে তার হাতে সময় খুব। সে মাত্র ছয় মাসের অতিথি। মনুর এই কথা শুনে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি চিকিৎসক।

ছোট্ট ছেলেটি এরপর ডাঃ সুধীর কুমারকে অনুরোধ করে যে তার ক্যান্সার এটা যেন তার মা-বাবাকে না জানানো হয়। চিকিৎসক লেখেন, ‍‍`শিশুটি যখন আমার কাছে এমন অনুরোধ করেছিল, আমি নিজেও চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম।‍‍`

বলাই বাহুল্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কাহিনী জানার পর নেটিজেনদের চোখ ভিজেছে জলে। মনুর এই নিষ্পাপ আবদার সকলকেই আবেগাপ্লুত করে তুলেছে। শিশুটির সুস্থতার জন্য এখন প্রার্থনা করছেন সকলেই।