আর কষ্ট করতে হবে না! বাবা ‘ডেলিভারি বয়’-র চাকরি পেয়েছেন জেনেই উচ্ছ্বাস স্কুলপড়ুয়া মেয়ের

বাবা একটি অনলাইন খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থায় ‘ডেলিভারি বয়’-এর চাকরি পেয়েছেন। সেই খবরে খুশিতে পাগল হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা মেয়ের। সন্তানের সাফল্যে বাবা-মায়ের খুশি হওয়ার দৃশ্য নতুন নয়। কিন্তু বাবার নতুন চাকরির খবরে মেয়ের আনন্দের দৃশ্য দেখে তাই আবেগে ভেসেছেন অনেকেই।

অনেক দিন ধরে চাকরির চেষ্টা করছিলেন ওই ব্যক্তি। পাচ্ছিলেন না। অবশেষে পেয়েছেন। আর তা দেখেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে স্কুলপড়ুয়া মেয়ে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি ৮-৯ বছরের স্কুলের পোশাক পরা কিশোরী দু’হাতে চোখ ঢেকে দাঁড়িয়ে রয়েছে। খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার দেওয়া পোশাক শরীরে ঠেকিয়ে মেয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বাবা। কিশোরী চোখ থেকে হাত সরাতেই এক লাফ দিয়ে বাবার কোলে। মুখে একগাল হাসি।

মেয়ের চোখ-মুখ বলে দিচ্ছে, বাবা যেন আকাশের চাঁদ হাতে এনে দিয়েছেন। মেয়ের খুশি দেখে আবেগে বাক্‌রুদ্ধ বাবাও। মুখ ফুটে কোনও কথা বলতে পারছেন না। অপলক দৃষ্টিতে মেয়ের আনন্দ উপভোগ করছেন শুধু। চোখের কোণে চিক চিক করে উঠছে জলের রেখা।

এদিকে কিশোরী মেয়েটিও কী করবে, বুঝে উঠতে পারছে না। এক বার বাবার কোলে তো সেখান থেকে ঘরের মেঝেয়। আর বাবা-মেয়ের এই আনন্দ উদ্‌যাপনের দৃশ্য দূরে দাঁড়িয়ে ক্যামেরাবন্দি করলেন দ্বিতীয় সন্তানের অপেক্ষায় থাকা অন্তঃসত্ত্বা মা।

আসলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পর্কগুলির মধ্যে একটি বাবা-মেয়ের সম্পর্ক। বাবাদের কাছে তাঁদের মেয়েরা সব সময়ই খুব আদরের। বেশির ভাগ মেয়েরই জীবনের ‘সুপারহিরো’ তাঁদের বাবারা। জীবনের সবচেয়ে ভরসা এবং বিশ্বাসযোগ্য পুরুষ তো বাবা-ই। মা-বাবারা যেমন সন্তানের সাফল্যে নিশ্চিন্ত হন, খুশি হন, উল্টো দিকে সন্তানও তাদের বাবা-মায়ের কোনও ভাল কাজে গর্ব বোধ করে। বাবার সাফল্যে মেয়ের খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠার এই ভিডিও তাই মন কেড়েছে সকলের।