শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

একেই বলে প্রেম! ভালোবেসে একই যুবককে বিয়ে যমজ ২ বোনের, ভিডিও দেখে চোখ কপালে নেটিজেনদের

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ১১:৪৮ এএম | আপডেট: ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ০৫:৪৮ পিএম

একেই বলে প্রেম! ভালোবেসে একই যুবককে বিয়ে যমজ ২ বোনের, ভিডিও দেখে চোখ কপালে নেটিজেনদের
একেই বলে প্রেম! ভালোবেসে একই যুবককে বিয়ে যমজ ২ বোনের, ভিডিও দেখে চোখ কপালে নেটিজেনদের

প্রেমের টানে মানুষ কী-ই না করতে পারেন! তবে ভালোবেসে একই যুবককে বিয়ে দুই বোনের, এমন ঘটনা আকছার শোনা যায় না! এবার ঠিক সেরকমই এক কাণ্ডের সাক্ষী রইল মহারাষ্ট্র। একই যুবকের প্রেমে পড়ে সেই যুবকের সঙ্গেই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন দুই যমজ বোন। আর এই খবরে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।

ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার আকলুজ গ্রামে। যমজ দুই বোনের নাম পিঙ্কি ও রিঙ্কি। পেশায় দু‍‍`জনেই ইঞ্জিনিয়ার। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে উচ্চপদে চাকুরিরত দুই বোন। আর যুবকের বাড়ি মহারাষ্ট্রে। নাম অতুল। যমজ দুই বোনের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের পরিচয় এবং ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা। আর সেই থেকেই পরবর্তীতে প্রেম এবং বিয়ে।

জানা গিয়েছে, দুই বোনের বাবা নেই। কর্মসূত্রে দু‍‍`জনেই থাকেন মুম্বইতে। সঙ্গে থাকেন তাঁদের মা-ও। অসুস্থ মাকে নিয়ে দুই বোন অতুলের গাড়িতে করে হাসপাতালে যেতে শুরু করেন। আর এই যাতায়াত করার সময়েই দুই বোনের সঙ্গে আলাপ ওই যুবকের। সেখান থেকেই অতুলকে মন দিয়ে বসেন পিঙ্কি ও রিঙ্কি। এরপর গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনজন। আশ্চর্যের বিষয়, যমজ বোন বা ওই যুবক, দুই পরিবারেরই এমন আজব বিয়েতে কোনও আপত্তি ছিল না। বরং দুই পরিবারই খুশি মনে বিয়েতে সম্মতি দেন।

এরপর গত শুক্রবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন পিঙ্কি-রিঙ্কি ও অতুল। ধুমধাম আয়োজন করে হয় তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান। আর এই ঘটনার একটি ভিডিও-ও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, একইসঙ্গে হাসিমুখে অতুলের গলায় মালা পরাচ্ছেন দুই বোন। যদিও এই ভিডিও যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে তেমনই প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেছে তা দেখে।

জানা গিয়েছে, এই বিয়ের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই আকলুজ গ্রামের থানায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে তাঁদের কী শাস্তি হতে পারে তা জানা যায়নি। শোনা যাচ্ছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন আমন্ত্রিত নাকি এমন অদ্ভুত বিয়েতে আপত্তিও জানিয়েছিলেন। যদিও তা ধোপে টেকেনি। দুই পরিবারের সম্মতিক্রমেই শেষমেশ বিয়ে হয়ে যায়।