শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সম্প্রীতি একেই বলে! মন্দিরে বসে মুসলিম যুবকদের হনুমান চালিশা শোনাচ্ছেন হিন্দু যুবক, রইল ভিডিও

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২২, ০৩:২৪ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২২, ০৯:২৭ পিএম

সম্প্রীতি একেই বলে! মন্দিরে বসে মুসলিম যুবকদের হনুমান চালিশা শোনাচ্ছেন হিন্দু যুবক, রইল ভিডিও
সম্প্রীতি একেই বলে! মন্দিরে বসে মুসলিম যুবকদের হনুমান চালিশা শোনাচ্ছেন হিন্দু যুবক, রইল ভিডিও

ভারত ধর্ম-নিরপেক্ষ দেশ। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ, প্রায় সব ধর্মের, সব শ্রেণীর মানুষের সমন্বয় এই দেশে। আর সকলের মধ্যে সম্প্রীতিও কম নয়! ঠিক সেরকমই এক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির মিলল ফের। আলিগড়ের এক মন্দিরে মুসলিম তরুণদের হনুমান চালিশা পড়ে শোনাতে দেখা গেল এক হিন্দু যুবককে। সেই ভিডিও এখন ভাইরাল নেটমাধ্যমে।

ভিডিওটি যেন ‍‍`বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য‍‍`-র এক প্রকৃত উদাহরণ। যেখানে দেখা গিয়েছে, মুসলিম তরুণ ও কচিকাঁচাদের সঙ্গে নিয়ে মন্দিরে বসে হনুমান চালিশা পড়ছেন এক হিন্দু যুবক। বাকিরা প্রত্যেকে মন দিয়ে শুনছে সে পাঠ। জানা গিয়েছে, এই হিন্দু যুবক হলেন অখিল ভারতীয় হিন্দু সেনার জেলা সভাপতি শচীন ভার্মা। আর তাঁর হনুমান চালিশা পড়ে শোনানোর ভিডিও মন কেড়ে নিয়েছে নেটিজেনদের। এই ধর্মীয় সম্প্রীতির নজির দেখে মুগ্ধ সকলেই। জানিয়েছেন কুর্নিশও৷

বিষয়টি নিয়ে পরে একটি সংবাদমাধ্যমকে শচীন ভার্মা জানান, “আমি অখিল ভারতীয় হিন্দু সেনার জেলা সভাপতি। বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষকে আমি হনুমান চালিশা পড়ার অনুরোধ করেছিলাম। সনাতন ধর্ম নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই পদক্ষেপ, তবে কাউকেই এ ব্যাপারে জোর করা হয়নি। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেদের ইচ্ছাতেই হনুমান মন্দিরে বসে চালিশা পাঠ করেছি।"

তিনি আরও জানিয়েছেন, শুধু হনুমান চালিশা পাঠই নয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবকদের মুখে ‘বন্দেমাতরম’, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও শোনা যায়। কিন্তু কোনওকিছুই বলপূর্বক করা হয় না। সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে যখন হিন্দু-মুসলিম ইস্যু নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে, প্রায়ই শোনা যাচ্ছে সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর, তখনই আলিগড়ের এই ভিডিও যেন অন্য ছবি তুলে ধরল।

এদিকে এই ঘটনার ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর মুখ খোলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্নি থিওলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান মুফতি জাহিদ আলি খান। তাঁর কথায়, “কেউ চাইলেই হনুমান চালিশা পাঠ করতে পারে। সেখানে জাতি-ধর্ম কোনও বাধা নয়। তবে অন্য ধর্মের কাউকে জোর করে এ কাজ করতে বললে তা নিশ্চিতভাবে সংবিধান বিরোধী।”