বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এক স্বামী, দুই বউ। এরকম ঘটনার নিদর্শন একটু খোঁজ করলেই পাওয়া যায়। এরকম অনেক ঘটনাই রয়েছে যেখানে একজন স্ত্রী থাকতেও অন্য আর একজনকে বিয়ে করতে দেখা গেছে। তবে তাদের বেশির ভাগটাই ঘটে লুকিয়ে চুরিয়ে। কিন্তু প্রকাশ্যে দুই বউকে সঙ্গে নিয়েই সংসার করছেন এক স্বামী, এমন ঘটনার কথা কি কখনও শুনেছেন? যদি না শুনে থাকেন তাহলে জেনে নিন।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে একটি ঘটনা সকলের সামনে এসেছে। এক স্বামীর দু-দুটো স্ত্রী। দুই স্ত্রী-এর দায়িত্বও পালন করেন সমানভাবে। এক স্ত্রীর সঙ্গে সপ্তাহে সোম, মঙ্গল, বুধ এই তিন দিন থাকেন আর অন্যজনের স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার। দুই স্ত্রীর প্রতিই পালন করেন তাঁর সমস্ত দায়িত্ব-কর্তব্য। হাতে রইল শুধু রবিবার। ওই একটা দিন বরাদ্দ থাকে তাঁর বাবা-মা ও তার সন্তানদের জন্য।
এমন ঘটনার সাক্ষী পেতে হলে যেতে হবেনা বিদেশে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলার ধোকপুরী তান্ডা এলাকার। এই অঞ্চলে পা রাখলেই স্বচক্ষে দেখা যাবে এক স্বামী-দুই স্ত্রী এর সংসার। দুজন বউয়ের প্রতি সমান কর্তব্য পালন করা স্বামীর গল্প নিমেষেই ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই আজব ঘটনার কথা শুনে তোলপাড় সামাজিক মাধ্যম।
কিন্তু কেন তৈরি হল এরকম পরিস্থিতি? জানা গিয়েছে, প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে সুখে স্বাচ্ছন্দে কাটছিল বিবাহিত জীবন। ছিল দুই সন্তানও। তাঁদের সংসার জীবনে ছিলনা কোনও টানাপোড়েন। দুজনের সম্পর্কের সমীকরণও ছিল বেশ ভালো। কিন্তু হঠাৎই তার মাঝে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় পরকীয়া। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অসমের এক যুবতীর সাথে পরিচয় হয় ওই ব্যক্তির। সেখান থেকে শুরু প্রেম। ওই যুবতীর টানেই নিজের সংসার ত্যাগ করে চলে যান পাশের রাজ্যে। সেখানেই শুরু করেন লিভ-ইন।
সবই ঠিক ছিল। সমস্যা তখনই তৈরি হয় যখন তাঁর প্রেমিকা সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। কী করবেন ভেবে না পেয়ে প্রেমিকার চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান নিজের বাড়িতে। কিন্তু পালিয়ে গিয়েও রেহাই পাননি তিনি। নিজের সন্তানের বাবাকে খুঁজতে যুবতী পুলিশের সাহায্য নিয়ে পা রাখেন ওই ব্যক্তির বাড়িতে। এর পরেই তাঁর কুকীর্তির কথা জানাজানি হয়ে যায় পরিবারসহ গোটা এলাকায়।
আইনি জটিলতার হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে ওই যুবতীকে বিয়ে করতে সম্মতি দেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী। বাধা দেয়নি ওই ব্যক্তির দুই সন্তানও। তবে শর্ত ছিল একটাই। দুই স্ত্রীর সঙ্গেই সংসার করতে হবে তাঁকে। সপ্তাহের প্রথম ৩ দিন এক স্ত্রীর সঙ্গে ও পরের ৩ দিন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। এই শর্তেই প্রশাসনের হাত থেকে মুক্তি মিলেছে তাঁর। এখন দুই স্ত্রীকে নিয়েই দিব্য সংসার করছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :