শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

অদম্য ইচ্ছেশক্তি! এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়েই স্কুলে যাতায়াত, পড়ুয়াকে কুর্নিশ নেটদুনিয়ার

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২২, ০১:৫৯ পিএম | আপডেট: মে ২৬, ২০২২, ০৭:৫৯ পিএম

অদম্য ইচ্ছেশক্তি! এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়েই স্কুলে যাতায়াত, পড়ুয়াকে কুর্নিশ নেটদুনিয়ার
অদম্য ইচ্ছেশক্তি! এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়েই স্কুলে যাতায়াত, পড়ুয়াকে কুর্নিশ নেটদুনিয়ার

অদম্য ইচ্ছেশক্তি ও মানসিক দৃঢ়তা, এই দুইয়ের জেরে কী না হয়! ইচ্ছে থাকলে বহু বাধা বিপত্তি কাটিয়েও যে কোনও অসম্ভব কাজই করে ফেলা সম্ভব! ঠিক সেটাই এবার করে দেখাল এক পড়ুয়া। আর সেই পড়ুয়ার দৃঢ়তা দেখে কুর্নিশ না জানিয়ে থাকতে পারেনি নেটদুনিয়া।

পড়ুয়াটির বয়স মাত্র ১০ বছর। বিহারের জামুই জেলার বাসিন্দা এই বালিকার একটি পা নেই। কিন্তু তাতে কী! এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়েই প্রতিদিন প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত স্কুলে যাতায়াত করে সে। কারণ, ছোট হলেও সে বুঝতে শিখেছে শিক্ষার গুরুত্ব। আর তাই নিজেকে শিক্ষার আলোকে আলোকিত করে তুলতে যে কোনও বাধাকেই জয় করার জন্য চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি ওই বালিকা।

জানা গিয়েছে, বছর দশেকের ছোট্ট এই পড়ুয়াটির নাম সীমা। ২ বছর আগে এক দুর্ঘটনায় নিজের একটি পা হারায় এই খুদে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে ভেঙে পড়েনি। বরং অদম্য সাহস ও মনোবলকে সম্বল করেই প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে সে। শুধু তাই নয়, বাড়ি ফিরে নিজের ভাই-বোনদেরও পড়াতে বসে যায়!

সম্প্রতি একটি ভিডিওর মাধ্যমে সীমার এই কাহিনী তুলে ধরে এক সংবাদমাধ্যম। সেই ভিডিও নজরে পড়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের৷ এরপরই সেটি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‍‍`১০ বছরের এই খুদে বালিকার অদম্য ইচ্ছাশক্তি আমাকে আবেগপ্রবণ করে তুলল। দেশের প্রত্যেক শিশুই উপযুক্ত শিক্ষার দাবিদার। আমি রাজনীতি বুঝি না, শুধু এটুকু জানি যে প্রত্যেক সরকারের কাছে এই কাজের জন্য যথেষ্ট সম্পদ রয়েছে। সীমার মতো প্রত্যেক শিশুকে যথাযথ শিক্ষা দেওয়াই সত্যিকারের দেশভক্তের কর্তব্য। এটাই আসল দেশভক্তি।‍‍`

সীমার পড়াশুনার প্রতি এই অদম্য ইচ্ছা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ তার স্কুলের শিক্ষকরাও। দিন দিন যেখানে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেই সময়ে দাঁড়িয়েও শিক্ষার গুরুত্ব কতটা তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল সীমা। বর্তমানে সে হয়ে উঠেছে তাদের গ্রামের এক আইকন। তাকে দেখে গ্রামের অন্য পড়ুয়ারাও শিক্ষায় আগ্রহী হচ্ছে। শত বাধা-বিপত্তি কাটিয়েও স্কুলে যেতে সচেষ্ট হচ্ছে। সীমার এই অদম্য মানসিক দৃঢ়তাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা নেটদুনিয়াও।