বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

এও সম্ভব! একই দিনে নয়, ভিন্ন ভিন্ন বছরে ২ যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩, ১১:৫০ এএম | আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৬:২৭ পিএম

এও সম্ভব! একই দিনে নয়, ভিন্ন ভিন্ন বছরে ২ যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা
এও সম্ভব! একই দিনে নয়, ভিন্ন ভিন্ন বছরে ২ যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা

জন্ম দিয়েছেন দুই ফুটফুটে যমজ কন্যাসন্তানের। কিন্তু একই দিনে নয়! এমনকি এক বছরেও নয়। দুই ভিন্ন ভিন্ন বছরে যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন এক মহিলা। শুনতে আশ্চর্য লাগছে নিশ্চয়ই? কিন্তু এই বিরল কাণ্ডটাই ঘটেছে আমারিকার টেক্সাসে। কীভাবে সম্ভব এমনটা?

ব্যাপারটা আসলে খুবই সহজ! গত ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ প্রথম যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন আমেরিকান মহিলাটি। আর ঠিক ৬ মিনিটের মাথায় জন্ম হয় তাঁর দ্বিতীয় কন্যাসন্তানের। কিন্তু ততক্ষণে ২০২২ পেরিয়ে ২০২৩-এ পা রেখেছে বিশ্ব। এমনকি বদলে গিয়েছে তারিখও। সময়-তারিখের হিসাবে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিটে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন মহিলা। আর তার ফলেই দুই ভিন্ন বছরে দুই যমজ সন্তানের মা হন তিনি।

আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা ওই মহিলার নাম ক্যালি জো স্কট। জানা গিয়েছে ক্যালিকে চিকিৎসকরা প্রসবের তারিখ দিয়েছিলেন ২০২৩-এর ১১ জানুয়ারি। তার আগেই গত ২৯ ডিসেম্বর কিছু শারীরিক পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে যান কেলি৷ সেই সময় তাঁর রক্তচাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন চিকিৎসকরা। ফলে কেলিকে গত ৩১ ডিসেম্বরই টেক্সাসের ডেন্টনের হেলথ প্রেসবিটারিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নতুন বছরের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে কেলি জন্ম দেন তার প্রথম সন্তানের। এর ঠিক ৬ মিনিট পর ১ লা জানুয়ারি ১২.০১ মিনিটে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়৷ কেলি প্রথম কন্যাসন্তানের নাম রেখেছেন অ্যানি জো, দ্বিতীয় কন্যাসন্তানের নাম এফি রো‌জ। দুই শিশুরই ওজন ৫.৫ পাউন্ড।

অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, যমজ সন্তানের জন্মানোর সময় বা তার পর মা ও সন্তানদের অবস্থা সংকটজনক হয়ে ওঠে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে কেলি বা সন্তানদের তেমন কিছুই ঘটেনি। তারা সকলেই আপাতত সুস্থ রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

এদিকে নতুন বছরের শুরুতেই দুই কন্যাসন্তানকে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা কেলি এবং তাঁর স্বামী। যমজ দুই কন্যাসন্তানের জন্মের মুহূর্তের কথা ফেসবুকে পোস্টও করেছেন দম্পতি। সেখানে স্বামী সগ দুই কন্যাসন্তানের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে কেলিকে। নিজের এমন আনন্দের মুহূর্তে যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন ‍‍`মা‍‍`। তিনি বলেন, "এটা একেবারেই অন্যরকম এক অনুভূতি।" কেলির বন্ধুরাও এমন বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে পেরে উচ্ছ্বসিত।