বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পাত্রীর উচ্চতা সাড়ে ৩ ফুট। আর পাত্রের উচ্চতা আরও কম। মাত্র ৩ ফুট। মালাবদল থেকে সাতপাক সবই ভালোভাবে সম্পন্ন হল। উলু আর শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হল বিবাহবাসর। বিয়ের নিয়মকানুন থেকে হইহুল্লোড় সবই ছিল আর পাঁচটা সাধারণ বিয়ে বাড়ির মতোই। বিহারের চাপড়া জেলার এই ঘটনা কোথাও যেন একটু আলাদা।
পাত্রী রেণুর জন্য অনেক বছর ধরেই যোগ্য পাত্রের খোঁজ করছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু রেণুর উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা কম হওয়ায় পাত্র খুঁজে পেতে বেগ পেতে হচ্ছিল তাঁদের। চার-ভাই আর দুই বোনের মধ্যে রেণু মেজো। বাকি ভাই-বোন সকলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাকি ছিলেন শুধু রেণু। বিয়ের বয়স হলেও বিয়ে না হওয়ায়, তাঁকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
অন্যদিকে, একই সমস্যা ছিল বছর ২৩-এর পাত্র শ্যামের ক্ষেত্রেও। রেণুর চেয়েও তাঁর উচ্চতা আরও খানিকটা কম। সাত- ভাইবোনের মধ্যে সবথেকে ছোট তিনি। বাকিদের সবাই আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উচ্চতার কারণে শ্যামের জন্যও কোনও পাত্রী পাওয়া যাচ্ছিল না। ছেলের কখনও বিয়ে হবে না ভেবে প্রায় হালই ছেড়ে দিয়েছিলেন শ্যামের বাবা-মা। কিন্তু কথায় বলে, কে কার জীবনসঙ্গী হবে, তা আগে থেকেই ঠিক হয়ে থাকে। দেরিতে হলেও ভগবানই মিলিয়ে দেন একে অপরকে। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হল।
এক আত্মীয়ের মাধ্যমে রেণুর বাড়ির লোকজন শ্যামের কথা জানতে পারেন। নিজেরাই শ্যামের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। শ্যামের বাবা-মা যেন হাতে চাঁদ পান। কথাবার্তা হওয়ার পর, মাত্র ২ দিনের মাথায় বিয়ে আয়োজন করা হয়। ২ জন ভিন্ন জাতের হলেও কেউ তা নিয়ে মাথা ঘামাননি। বেশ জাঁকজমক করেই ২ জনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। পাত্র শ্যাম এবং পাত্রী রেণু দুজনেই জানিয়েছেন, ‘আমরা একে অপরের জন্যই এতদিন অপেক্ষা করছিলাম। নিজেদের রাজযোটক বলে মনে হচ্ছে।’
আপনার মতামত লিখুন :