বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

খুদে পড়ুয়ার রাগ ভাঙানোর ভিডিও ভাইরাল হতেই মুখ খুললেন শিক্ষিকা! কী বললেন?

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২, ১১:১৭ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২, ০৫:১৭ এএম

খুদে পড়ুয়ার রাগ ভাঙানোর ভিডিও ভাইরাল হতেই মুখ খুললেন শিক্ষিকা! কী বললেন?
খুদে পড়ুয়ার রাগ ভাঙানোর ভিডিও ভাইরাল হতেই মুখ খুললেন শিক্ষিকা! কী বললেন?

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক মিষ্টি ভিডিও। ভিডিওতে এক খুদে পড়ুয়াকে তাঁর শিক্ষিকার রাগ ভাঙাতে দেখা যাচ্ছে। শিক্ষিকাটি চেয়ারে বসে। তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে শিক্ষিকার রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করছে এক খুদে। আর সেই ভিডিওই এখন ভাইরাল নেটমাধ্যমে। শিক্ষিকা আর খুদের পড়ুয়াটির মিষ্টি কথোপকথনের ভিডিও শৈশবের স্মৃতি উস্কে দিয়েছে নেটিজেনদের। 

ভিডিওটি রাতারাতি ভাইরাল হতেই নেটদুনিয়ায় মাতামাতি চলছে। জানা গিয়েছে, ভাইরাল হওয়া এই শিক্ষিকার নাম বিশাখা ত্রিপাঠী। তিনি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের নৈনির একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। যে খুদে পড়ুয়া তাঁর রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করছিল, তার নাম অথর্ব। তাঁর এই ভিডিয়ো ভাইরাল প্রসঙ্গে বিশাখা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ভিডিয়োটি যে এত মানুষ পছন্দ করেছেন, খুব ভাল লাগছে।”

রাতারাতি তারকা হয়ে গিয়েছেন, এ কথা মানতে চাইছেন না বিশাখা। তবে এক জন শিক্ষক হিসাবে পড়ুয়াদের সঙ্গে কী ভাবে আচরণ করা উচিত, কী ভাবে তাদের সামলানো উচিত সেটাই তাঁর মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন বিশাখা। তাঁর কথায়, “আমরা বাচ্চাদের যা শেখাব, যে ভাবে শেখাব, আগামী দিনে ওরা সে ভাবেই কাজ করবে। তাই সকলকে অনুরোধ করব, ভালবাসা আর স্নেহ দিয়ে বাচ্চাদের পড়ান।” 

বিশাখা জানান, ক্লাসে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন রকমের হাতের কাজ শেখানো হয়। ওই দিনও হাতের কাজ শেখানোর ক্লাস নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু অথর্ব খুবই দুষ্টুমি করছিল। তিনি বলেন, “এর পরই অথর্বকে কাছে ডাকি। ও বুঝতে পেরেছিল আমি রেগে গিয়েছি। ওকে বললাম, তুমি যদি এমন দুষ্টুমি করো, তা হলে তোমার সঙ্গে কথা বলব না। এ কথা শুনেই অথর্ব আমার রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করে। বার বার বলে, আর করব না, সত্যি বলছি। ওকে দিয়ে প্রতিজ্ঞা করাই দুষ্টুমি না করার জন্য।”

এক বছর ধরে নৈনির ওই স্কুলে শিক্ষকতার কাজ করছেন বিশাখা। বাচ্চাদের কী ভাবে আগলাতে হয়, কী ভাবে ওদের সঙ্গে মজাচ্ছলে, ভালবেসে পড়াতে হয়, সেই অভিজ্ঞতাও দারুণ বলে জানিয়েছেন ভাইরাল হওয়া প্রয়াগরাজের এই শিক্ষিকা। বিশাখা জানান, কী শেখানো হচ্ছে, কী কী হাতের কাজ করানো হচ্ছে, মাঝেমধ্যেই অভিভাবকদের সেই ছবি বা ভিডিয়ো পাঠানো হয়। এবং অনেক সময় সেই কাজের ছবি বা ভিডিয়ো রেকর্ডও করে রাখা হয়। তাঁর কথায়, “আমি যখন অথর্বর সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন ভিডিয়োটি করেন নিশা ম্যাডাম। সেই ভিডিয়ো আমার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করি। কিন্তু এ ভাবে ভাইরাল হবে ভাবতে পারিনি। পরে যখন দেখলাম যে, আমার আর অথর্বও এই ভিডিয়ো নিয়ে নেটমাধ্যমে বিপুল চর্চা হচ্ছে।”