
বংনিউজ২৪x৭ডিজিটাল ডেস্কঃ কেন বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ? এদিকে আগামীকালই রয়েছে ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা। তাছাড়া এর মধ্যে অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগও দিচ্ছেন বহু নেতা-নেত্রী। এর জেরে প্রাচীন এবং নব্য বিজেপির’র মধ্যে দ্বন্দ্বের আশঙ্কাও করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। সেই কারণেই পিছিয়ে যাচ্ছে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও আজ এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা অমিত মালব্য।
প্রথমে জানা গিয়েছিল, চলতি মাসের ৪ অথবা ৫ তারিখ রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হবে প্রার্থী তালিকা। ৪ তারিখ রাতের মধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সঙ্গে এই মর্মে রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠকও হয়ে গিয়েছিল। এরপরেও ৫ তারিখ বিজেপি তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সভা শেষ হলেই, প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে প্রশ্ন উঠছে, যদি প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়েই থাকে, তাহলে তা প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন?
এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তবে, বিজেপি সূত্রে খবর, প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর, ঘাসফুল শিবিরে যে রকম অশান্তি দেখা দিয়েছে, বিজেপির অন্দরে তা যাতে না হয়, তাই সময় নিয়েই বিজেপি শিবির তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে। তবে এবার এই বিষয়ে সবরকম জল্পনা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন- ‘এবারের ভোটে যেসব দল তাদের ভবিষ্যত নিয়ে নিশ্চিত নয়, তারাই তাড়াতাড়ি প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে দিচ্ছে। যাদের নাম ওই তালিকায় রাখা হচ্ছে, তাদের অনেকের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনও যোগাযোগ নেই। অন্যদিকে, বিজেপি যখন কাউকে প্রার্থী করে, তখন তাঁর প্রতি মানুষের আশা-আকাঙ্খার কথা মাথায় রেখেই তাঁকে তালিকায় রাখে। দল মনে করে সোনার বাংলা গড়তে তিনিই এলাকায় সবচেয়ে ভালো কাজ করতে পারবেন।’
Parties, unsure about their prospects, not facing a problem of plenty, rush to name candidates, many of who have nothing to do with public service.
The BJP, as and when it releases its list will field candidates who will embody the aspirations of people and work for Sonar Bangla.— Amit Malviya (@amitmalviya) March 6, 2021
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই তৃণমূল থেকে পদ্ম শিবিরে বহু হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী যোগ দিয়েছেন। এবারের হাই-ভোল্টেজ নির্বাচনে বিজেপির পুরনো নেতারাও টিকিট পেতে আগ্রহী। আবার যারা যোগ দিয়েছেন সদ্য, তাঁরাও লড়তে ইচ্ছুক নির্বাচনে। তাই কাকে ছেড়ে কাকে প্রার্থী করা হবে, কোথায় কাকে আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, সে প্রশ্ন তো থেকেই যায়। তাই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরনো এবং নতুনদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর তেমনটাই। তাই মোদীর ব্রিগেডের আগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে, ক্ষোভ তৈরি হোক, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব সেটা চাইছে না একেবারেই। এদিকে প্রথম দফার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৯ মার্চ।