শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

রাজ্যপালের সঙ্গে ঘণ্টাদেড়েক বৈঠক! কী আলোচনা হল? মুখ খুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান

০৯:০১ পিএম, জুলাই ২৩, ২০২১

রাজ্যপালের সঙ্গে ঘণ্টাদেড়েক বৈঠক! কী আলোচনা হল? মুখ খুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান

শুক্রবার বিকেলে রাজভবনে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করলেন রাজ্যপাল ও বিধানসভার স্পিকার৷ বিকেল ৪ টের আগেই রাজভবনে হাজির হন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল সওয়া ৫ টা নাগাদ বৈঠক সেরে বেরিয়ে আসেন। প্রথমে জানা গিয়েছিল, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের তলবেই রাজভবনে হাজির হয়েছিলেন বিমানবাবু৷ পরে স্পিকার স্বয়ং জানান, তলব নয়, রাজ্যপাল আবেদন করেছিলেন। তাই সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই এই বৈঠক। যদিও তা ঘিরে জল্পনায় রাজনৈতিক মহল।

এদিন বৈঠক শেষে রাজভবনের বাইরে সংবাদমাধ্যমে বিমানবাবু জানান, "দুটো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যা কথোপকথন হয়, তাই হয়েছে। দুটো প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা কীভাবে বজায় রাখা যায়, আমাদের বিধানসভার পরিচালনার ক্ষেত্রে কী নিয়মাবলী রয়েছে, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আর কিছু নয়। এর বাইরে আমি কিছু বলব না।" এর বেশি আর কিছুই খোলসা করে জানাননি বিমানবাবু। তবে সূত্রের খবর, দুজনের মধ্যে বেশ সৌদাহ্যপূর্ণ আলোচনাই হয়েছে।

অন্যদিকে, বৈঠক শেষে বরাবরের মতোই টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের মুহূর্তের ছবি ও অপর একটি টুইটে সাক্ষাতের ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি। টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রাজভবনে এসেছিলেন। নানাবিধ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কী ভাবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি একসঙ্গে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির কীভাবে সমন্বয় সাধন করা উচিত সে বিষয়ে কথা হয়েছে।' সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির গুরুত্ব এবং তাৎপর্যের কথাও উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1418540449703202817?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1418540449703202817%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Ftv9bangla.com%2Fkolkata%2Fgovernor-jagdeep-dhankhar-meeting-with-biman-banerjee-went-for-long-after-called-in-rajbhawan-388214.html

যদিও বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। এর আগে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার কাজে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করছেন। স্পিকারের এই কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করে সরাসরি তাঁকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল পদের অবমাননা করেছেন স্পিকার এই অভিযোগও তুলেছিলেন। এরপর আজকের এই সাক্ষাৎ ঘিরে কিছুটা সংশয়েই রয়েছে রাজনৈতিক মহল।