বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একটানা বৃষ্টি থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। দেখা মিলেছে রোদেরও। এদিকে, আজই ভবানীপুর এবং জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে নির্বাচনের ফল প্রকাশ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে গণনা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে যে, উত্তরবঙ্গে আজ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সতর্কতা না থাকলেও, বিক্ষিপ্তভাবে ভিজতে পারে কিছু জেলা। গত কয়েক দিন ধরেই নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিপাত হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গ থেকে নিম্নচাপ সরেছে। দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা না থাকলেও, ৩ থেকে ৪ তারিখ উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রবিবার ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদে। এর পাশাপাশি দার্জিলিংয়ে ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টি এবং মেঘের দরুণ কমতে পারে দৃশ্যমানতা। সোমবার উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
অন্যদিকে, আজ দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলির আবহাওয়া পরিষ্কারই থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এর সঙ্গে বাড়তে পারে কলকাতার তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ার কারণে বাড়বে অস্বস্তি। তবে, বিকেলের দিকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে কিছু জেলায়। তবে এই মুহূর্তে কোনও নিম্নচাপের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়বে না বলেই জানাচ্ছে আলিপুর। এই মুহুরতে রাজ্যের যা আবহাওয়ার পরিস্থিতি, তাতে স্বাভাবিক কারণেই মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে, পুজোর সময়ও কি বৃষ্টি হবে? আবহাওয়া দফতর অবশ্য এখনই এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুজোয় আবহাওয়া কেমন থাকবে তা এখন থেকে বলা সম্ভব নয়। তবে, এই বছর দেরিতেই বাংলা থেকে বিদায় নেবে বর্ষা।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ বাড়তে পারে শহর কলকাতার তাপমাত্রা। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রির কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রির কাছাকাছি। শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি এবং রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি অস্বস্তি বাড়াবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৫ শতাংশ।