বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে গেছে। যদিও পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও দুই মেদিনীপুরের একাংশে এখনও বর্ষা প্রবেশ করেনি বলেই জানআচ্ছে হাওয়া অফিস। এই বাকি অংশে আগামীকাল অর্থাৎ ২৩ জুন ঢুকবে বর্ষা। এদিকে, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হবে আরও ৪৮ ঘণ্টা। উত্তরবঙ্গে ২৪ জুনের পরে বৃষ্টি আরও কিছুটা কমবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আজ ২২ জুন এবং আগামীকাল ২৩ জুন উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে অবশ্য ভারী বৃষ্টি দিয়ে বর্ষার শুরু হয়নি। এখনও কোথাও ভারী বৃষ্টি হয়নি। তবে, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৫ ও ২৬ জুন একাধিক জেলায় বাজ পড়ার প্রবণতা বাড়বে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব অংশেই পৌঁছে গিয়েছে মৌসুমী বায়ু। বর্ষা ঢুকতে বাকি ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং দুই মেদিনীপুরের কিছু অংশে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সব অংশেই পৌঁছে যাবে মৌসুমী বায়ু। ক্যানিং থেকে আরও একটু এগিয়ে হলদিয়ার উপর দিয়ে এখন অবস্থান করছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু।
উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে রয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। পাশাপাশি দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গে অতি বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে আজকেও। বৃষ্টি বাড়বে মালদা ও দিনাজপুরে। এমনটাই বলছে আবহাওয়া দফতর। চরম বজ্রপাত ও অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা মালদহ, উত্তর ও দক্ষিন দিনাজপুর, দার্জিলিং উত্তরের এই তিন জেলাতে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে উত্তরবঙ্গে। আজ ও কাল উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বাজ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের। প্রয়োজনে ‘দামিনী’ অ্যাপ ডাউনলোড করে বজ্রপাতের সম্ভাবনা দেখে বেরনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বজ্রপাতের সতর্কতা থাকলে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবি এবং সোমবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে, উত্তরবঙ্গের মতো ভারী বা অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গে কমই।
আপনার মতামত লিখুন :