বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মধ্য আন্দামান সাগরের বুকে সৃষ্ট ঘূর্ণবাত শুক্রবারই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরপর ক্রমশই তা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতের মধ্যেই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং রবিবারই তা ‘অশনি’-র রূপ নিতে পারে। পূর্বাভাস সত্যি হলে আগামী ১০ মে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের কাছে পৌঁছে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড়। তবে ঠিক কোথায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে সেই বিষয়ে সঠিকভাবে কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর।
প্রথমে গভীর নিম্নচাপ ও পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার উপযুক্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তবেই বোঝা যাবে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল ঠিক কোথায় হবে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করার আগাম প্রস্তুতির কোনও ত্রুটি নেই। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলবর্তী এলাকার প্রশাসন ইতিমধ্যেই তৎপরতার সঙ্গে যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আগামী ১০ মে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১০ থেকে ১৩ মে’র মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। পাশাপাশি ১০ মে উপকূলবর্তী এলাকায় অথবা উপকূলের অদূরে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলায় কতটা পড়বে বা আদৌ পড়বে কিনা সেই নিয়ে সকলের মনেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি স্পষ্ট না হলে আগে থেকে কিছু বোঝা যাবেনা। তবে আগামী সোমবার থেকে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে তার মধ্যে কোন কোন জেলা রয়েছে সেটাও স্পষ্টভাবে জানায়নি আবহাওয়া দফতর।
আপনার মতামত লিখুন :