বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

পোস্টাল ব্যালটে নয়, সাধারণ মানুষের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়েই ভোট দিতে চান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য!

০৬:৫৩ পিএম, এপ্রিল ১৬, ২০২১

পোস্টাল ব্যালটে নয়, সাধারণ মানুষের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়েই ভোট দিতে চান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য!

শারীরিক অসুস্থতার কারণে দু'দুবার হাসপাতাল থেকে ঘুরে আসতে হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। অসুস্থতার কারণে লোকসভার নির্বাচনে ভোট দিতে যেতে পারেননি তিনি। এমনকি ইচ্ছে থাকলেও চলতি বছরে ব্রিগেড সভাতেও আসা সম্ভব হয়নি। তবে বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে বাড়ি থেকেই কমরেডদের উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। এখন শরীর অনেকটাই সুস্থ। কমেছে অসুস্থতাও। তাই এবার পোস্টাল ব্যালটে, লাইনে দাঁড়িয়েই নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে চান রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

প্রসঙ্গত, করোনার কারণে নির্বাচন কমিশন এ বছর গুরুতর অসুস্থ বা আশি ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তবে তার জন্য ১২ডি ফর্মের মাধ্যমে আবেদন জানাতে হচ্ছে। কমিশনের কর্মীরা নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটের কয়েকদিন আগেই ব্যালটে ভোট সংগ্রহ করছেন। বুদ্ধদেববাবু বালিগঞ্জের ভোটার। সেখানে ভোট আগামী ২৬ এপ্রিল। যেহেতু তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এমনকি তিনি শয্যাশায়ীও ছিলেন বহুদিন, তাই পার্টির তরফে পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টি জানানো হয় তাঁকে। তবে তা শুনে কিছুতেই রাজি হননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

পোস্টাল ব্যালট মারফত ভোট দিতে একেবারেই নারাজ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন তিনি। সারছে অসুস্থতাও। ঘরের মধ্যে হাঁটাচলাও করছেন। তাই তিনি চান, সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভোটকেন্দ্রের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে। এই প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটের সময় গুরুতর অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধবাবু। এবার অনেকটাই সুস্থ। তাই ভোটদানের বিষয়ে শেষ মুহূর্তেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান।

অন্যদিকে, একই পথে হাঁটছেন বিমান বসু স্বয়ংও। বয়স আশি পেরোলেও তিনি যথেষ্ট 'ফিট'। শরীরে নেই কোনও রোগ বালাইও। তাই কমিশনের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও সটান জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্রে গিয়েই নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। দলের দুই প্রবীণ নেতৃত্বের এই মানসিক দৃঢ়তা তরুণ প্রজন্মের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে, এমনটাই মনে করছেন কিছু কর্মী-সমর্থক।