ফিরহাদ হাকিমের ইস্তফার পর, কলকাতা পুরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব খলিল আহমেদ। সরকারি পদে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিকে রাখা যাবে না, এই মর্মে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এরপরই কলকাতা পুরসভার পুর প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ফিরহাদ। সোমবার, তাঁর-ই স্থানে পুর প্রশাসক পদে বসলেন প্রাক্তন পুর সচিব।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সোমবারই, কলকাতা সহ রাজ্যের পাঁচ পুরনিগম ও ১০৩ পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরিয়ে বসানো হল আইএএস এবং ডব্লুবিসিএস অফিসারদের। প্রসঙ্গত, গত শনিবার কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্য সরকারের তরফে সে সব মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভা ও পুরনিগমে প্রাক্তন মেয়র বা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, নির্বাচন চলাকালীন তাঁরা সেই পদে বসে কোনও কাজ করতে পারবেন না। নির্দেশ মেনে শনিবার রাতেই, কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেন ফিরহাদ হাকিম।
অন্যদিকে, প্রশাসক মণ্ডলী থেকে একইসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন তৃণমূলের আরও দুই প্রার্থী, অতীন ঘোষ ও দেবাশিস কুমার। শিলিগুড়ির প্রশাসক পদ থেকে অশোক ভট্টাচার্যও ইস্তফা দিয়েছেন ইতিমধ্যে। এদিকে, সোমবার, নতুন প্রশাসক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কলকাতা, শিলিগুড়ি, আসানসোল-সহ পাঁচটি কর্পোরেশনেই কমিশনারদের প্রশাসক নিয়োগ করছে রাজ্য সরকার।
কলকাতায় খলিল আহমেদের পর হাওড়ায় অভিষেক ত্রিপাঠি, বিধাননগরে দেবাশিস ঘোষ, আসানসোলে নীতিন সিংহানিয়া এবং শিলিগুড়িতে সুরেন্দ্র গুপ্তাকে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। সোমবার থেকেই নতুন দায়িত্বে বসতে চলেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই পুরসভার কমিশনার ছিলেন খলিল আহমেদ। তাঁর নেতৃত্বে কলকাতার পুর পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে বলেই দেওয়া হল এই বড় দায়িত্ব।