বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

তৃণমূলের ৫ আসনের পাল্টা ৫০ আসনের পুনর্গণনা চেয়ে হাইকোর্টের দারস্থ হচ্ছে বিজেপি!

০৮:২৯ পিএম, জুন ১৯, ২০২১

তৃণমূলের ৫ আসনের পাল্টা ৫০ আসনের পুনর্গণনা চেয়ে হাইকোর্টের দারস্থ হচ্ছে বিজেপি!

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে হেরে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই নন্দীগ্রামের ভোটের পুনর্গণনার জন্য আদালতের দারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পাশাপাশি আরও ৪ কেন্দ্রের তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থীরাও ভোট গণনার কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। উচ্চ আদালতের কাছে নির্বাচনী আবেদনও দায়ের করেছেন। এবার সেই একই পথে হাঁটল বিজেপিও৷ তৃণমূলের ৫ আসনের পাল্টা ৫০ আসনের পুনর্গণনা চেয়ে হাইকোর্টের দারস্থ হওয়ার ভাবনা বিজেপির।

এই বিষয়ে শুক্রবারই রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, "আইনজীবীদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নেতৃত্ব। তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাদের ভয়ে একাধিক স্থানে গণনাকেন্দ্র ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বিজেপির এজেন্টরা। ৫০ আসনে আমরা খুব কম মার্জিনে হেরেছি। কোথাও ২-৩ হাজার, কোথাও হাজারের ব্যবধান ছিল।"

তাঁর সুরে গলা মিলিয়ে শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, "রাজ্য বিজেপির আইনি দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরাও ইলেকশন পিটিশন করতে চাই। বিষয়টি দেখছে আইনি টিম। প্রস্তুতি চলছে।" সূত্রের খবর, রাজ্যের ৫০টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির হারের ব্যবধান খুবই সামান্য। ওই কেন্দ্রগুলিতে ভোটের পুনর্গণনার দাবীতেই আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি।

উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগে পুনর্গণনার জন্য আদালতের দারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই বলরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো, বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী আলোরানী সরকার, হুগলির গোঘাটের মানস মজুমদার ও পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার সংগ্রাম কুমার দলুই এই চার কেন্দ্রের প্রার্থীও মামলা করেন। অন্যদিকে, শুক্রবার নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি থাকলেও তা আরও পিছিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপস্থিত থাকায় বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার হবে পরবর্তী শুনানি৷ সব পক্ষকেই ওই দিন উপস্থিত থাকার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।