শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

কেন্দ্রের মোদী সরকার বন্ধ করলেও, রাজ্য সরকার চালু রাখবে বিনামূল্যে রেশন! ঘোষণা খাদ্যমন্ত্রীর

০৮:৩০ পিএম, নভেম্বর ৭, ২০২১

কেন্দ্রের মোদী সরকার বন্ধ করলেও, রাজ্য সরকার চালু রাখবে বিনামূল্যে রেশন! ঘোষণা খাদ্যমন্ত্রীর

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশে করোনা পরিস্থিতিতে, সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে চালু হয়েছিল বিনামূল্যে রেশন। প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনায় করোনা আবহে দেশব্যাপী সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে যে রেশন দেওয়া হচ্ছিল, তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি মাসের ৩০ তারিখ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সুধাংশু পাণ্ডে এই প্রসঙ্গে আরও জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার ভাবছে, যেহেতু দেশের অর্থনীতি আবার একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, পাশাপাশি খোলা বাজারেও খাদ্যশস্যও বিক্রি হচ্ছে, তাই এই প্রকল্পের মেয়াদ নতুন করে বৃদ্ধির এখনও কোনও প্রস্তাব আসেনি। এরপরেই বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্য সরকারের নির্ধারিত বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা চালু রেখেছে। রবিবার মাইকেল নগরের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি জানালেন, রাজ্য সরকারের বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা চালু রয়েছে এবং তা চালু থাকবে।

খাদ্যমন্ত্রী পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছেন যে, ‘বিনামূল্যে রেশনের জন্য রাজ্য সরকারের বরাদ্দ যা রয়েছে তার থেকে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যা দেওয়া হচ্ছিল, সেটা ওরা বন্ধ করেছে। গরিব কল্যাণের নামে সাময়িকভাবে মানুষকে সুবিধা দিয়ে হঠাৎ করে বন্ধ  করে দেওয়ার কারণ জানা নেই। এদিকে, করোনা পরিস্থিতি এখনও চলে যায়নি। কেন বন্ধ করলেন ওনারাই ভালো জানবেন। তবে রাজ্য সরকারের খাদ্য সাথীর মাধ্যমে যে রেশন ব্যবস্থা রয়েছে তাতে মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে।’

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার গিমিক করে নির্বাচনের জন্য ফ্রি রেশন চালু করেছিল। মানুষের অসুবিধা হিসেবে করলে তা বন্ধ করতো না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রেশন বন্ধের এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই অভিমত খাদ্যমন্ত্রী।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুজোর আগে দুয়ারে রেশন নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল খাদ্য দফতর। খাদ্য দফতরে নির্দেশিকা অনুযায়ী, কবে কোথায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প হবে, তা পূর্ব নির্ধারিত থাকবে। পূর্ব নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট কোনও পাড়া, গ্রাম বা পল্লিতে খাদ্যশস্য, ই-পস এবং ওজন করার মেশিন নিয়ে হাজির হবেন রেশন ডিলাররা। এরপর সেখানেই উপভোক্তাদের প্রাপ্য চাল, গম, চিনি একবারেই দিতে হবে। একই পরিবারের যেকোনও সদস্যই ই-পস যন্ত্রে বায়োমেট্রিক বা আধারকার্ডের প্রমাণ দিয়ে দুয়ারে রেশনে থাকা পুরো পরিবারের প্রাপ্য খাদ্য় শস্য বাড়িতেই পেতে পারেন। যদি কোনও কারণে সেই রেশন গ্রহণ করতে না পারেন, পরে সরাসরি রেশন দোকানে গিয়ে নিয়ে আসার সুযোগও থাকবে।

অন্যদিকে, দুয়ারে রেশন প্রকল্পে উপভোক্তা পরিবারগুলিকে ১৬ টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হবে বলে জানানো হয়। প্রতি ক্লাস্টারে বিতরণের জন্য প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট দিন থাকবে। মাসের প্রথম থেকে চতুর্থ সপ্তাহ পর্যন্ত মঙ্গলবার, বুধবার, শুক্রবার দুয়ারে রেশন পৌছবে।