তৃনমূল কংগ্রেসের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। এ বছরের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই রাজ্যসভায় অধিবেশন চলাকালীন নিজের ইস্তফার ঘোষণা করেছিলেন প্রাক্তন এই তৃনমূল সাংসদ। তিনি ছেড়ে যাওয়ার ফলে ওই আসনটি এখন ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। ওই আসনে উপনির্বাচনের জন্য এবার দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।
জানা গিয়েছে, রাজ্যসভার ওই আসনে আগামী ৯ অগাস্ট উপনির্বাচন হতে চলেছে। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে নির্বাচন প্রক্রিয়া। এর জন্য ২২ জুলাই ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। মনোনয়নপত্র যাচাই করা হবে ৩০ জুলাই। আর সেই পত্র প্রত্যাহার করার শেষ দিন ২ আগস্ট। উপনির্বাচনের দিনই বিকেল ৫টায় হবে ভোট গণনা।
উপনির্বাচনের দিন যথা সম্ভব করোনা-বিধি মেনে চলারও নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেই কথা মাথায় রেখেই বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ, ভোটের কাজে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের প্রত্যেকের মাস্ক পরা এবং হল ঘরে ঢোকার আগে থার্মাল স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক। ভোটকেন্দ্রের সব জায়গায় স্যানিটাইজার রাখতে হবে। যথা সম্ভব শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখতে হবে। এই বিষয়গুলি যাতে ঠিকমতো মানা হয় চলা হয়, তা দেখার জন্য মুখ্যসচিবের নির্দেশে এক সিনিয়র অফিসারকে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তৃনমূলের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়েই নিজের ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। জানিয়েছিলেন, দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না তিনি। দম বন্ধ হয়ে আসছিল। তারপরই পদত্যাগ করেন দীনেশ। এদিকে রাজ্যসভায় বর্তমানে দীনেশ আসনের সঙ্গেই ফাঁকা মানস ভ্যুঁইয়ার আসনও। এর মধ্যে কদিন আগেই রাজ্যসভা এবং বিধানসভা উপনির্বাচন করানোর জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় রাজ্যসভার দুটি আসনের পাশাপাশি ৭ বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচনের আর্জি জানিয়েছিল শাসক দল। তারপরেই দীনেশের আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।