শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যের এই সমস্ত জেলায় ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী! সঙ্গে বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি

০৩:১৭ পিএম, এপ্রিল ৯, ২০২১

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যের এই সমস্ত জেলায় ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী! সঙ্গে বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যে ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী। ফলে সারা রাজ্য জুড়েই ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দপ্তর। উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেই আজ বজ্র-বিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে থাকবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াও। কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে৷ বিকেলের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা।

কেন এই ঝড় বৃষ্টি? কারণ, উত্তর প্রদেশ ও বিহারের ওপর তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা ছত্রিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের ওপর দিয়ে বিদর্ভ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আগামী দু-তিন দিনে এই অক্ষরেখা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। এই অক্ষরেখার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প এসে মেঘ সৃষ্টি করছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ড এলাকায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলাতে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি বা শিলা বৃষ্টি হতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়াও বইতে পারে। আগামী রবিবার পর্যন্ত কোথাও আকাশ আংশিক মেঘলা, কোথাও পুরোপুরি মেঘলা থাকবে।

দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা-সহ বেশকিছু জেলায় ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি ও নদীয়া জেলাতে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এই জেলাগুলিতেও রবিবার পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঝড় বৃষ্টির আগে গরম ও অস্বস্তি বাড়বে।

প্রসঙ্গত, আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। এদিন বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ রয়েছে ৫৮ থেকে ৯৩ শতাংশ।