শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

মালদহের কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উদ্ধার চারজনের দেহ

০৪:০৩ পিএম, জুন ১৯, ২০২১

মালদহের কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উদ্ধার চারজনের দেহ

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অবশেষে মালদহের কালিয়াচকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে উদ্ধার হল চার জনের মৃতদেহ। মা-বাবা-সহ পরিবারের ৪ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করে, বাড়ির লাগোয়া গুদামঘরে পুঁতে রাখার অভিযোগ ওঠে বাড়ির ছোট ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ৪ মাস আগের। চার মাসের পুরনো খুনের ঘটনায় গতকাল বছর ১৯-এর আসিফ মহম্মদকে গ্রেফতার করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচকের পুরাতন ১৬ মাইল গ্রামে।

এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছান ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁর উপস্থিতিতেই শুরু হয় খোঁড়ার কাজ। খনন কাজ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার হয় মৃত চারজনের দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মাটির প্রায় দেড় থেকে দুই ফুট নিচে পাওয়া যায় মৃতদেহগুলি। ঘটনার দিন, মানুষের নজর এড়াতে, মৃত পরিবারের সদস্যদের অর্ধচেতন অবস্থায় সুরঙ্গের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁদের হত্যা করে পুঁতে দেওয়া হয়। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিন ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।

পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করে হয়েছে, ধৃত আসিফ জেরায় জানিয়েছে, মাস চার আগে সে মা-বাবা- বোন এবং দিদাকে খুন করে বাড়ির লাগোয়া গুদামঘরে পুঁতে দেয়। বড় ভাইকে খুনের হুমকি দেওয়ায়, সে কলকাতায় পালিয়ে যায়। গতকালই আসিফের বড় ভাই আরিফ মহম্মদ পুলিশের কাছে খুনের বিষয়টি জানালে, গোটা ঘটনা সামনে আসে এবং আসিফকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের দাবি, জেরায় আসিফ চারজনকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পরিবারের বাকি সদস্যদের দেখতে না পেয়ে, স্থানীয়দেরও সন্দেহ হয়। কী কারণে পরিবারের সদস্যদের এভাবে খুন করল আসিফ, তা খতিয়ে দেখছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। পাশাপাশি আসিফের দাদা আরিফের ভুমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তবে, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিকভাবে অসুস্থ আসিফ। এলাকার কারও সঙ্গে তিনি মিশতেন না। নিজেকে ঘরবন্দি করেই রাখাতেন। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, চারমাস ধরে বাড়িতে একাই থাকত খুনে অভিযুক্ত আসিফ মহম্মদ। অনলাইনে অর্ডার দিয়ে আনাত খাবার। প্রতিবেশীদের সে নাকি জানিয়েছিল, বাড়ির সদস্যরা কিছুদিনের জন্য বাইরে গিয়েছেন। এমনকি সন্দেহ এড়াতে বাড়িতে সে পরিচারিকাকেও ঢুকতে দেয়নি।