শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

পুকুরে ভাসছে চিত্রশিল্পী দাদার দেহ! বাড়িতে চরম পরিণতি ভাই-বোনেরও

মৌসুমি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৪:৫১ পিএম | আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ১০:৫১ পিএম

পুকুরে ভাসছে চিত্রশিল্পী দাদার দেহ! বাড়িতে চরম পরিণতি ভাই-বোনেরও
পুকুরে ভাসছে চিত্রশিল্পী দাদার দেহ! বাড়িতে চরম পরিণতি ভাই-বোনেরও

এক ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকলো উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়া এলাকা। এদিন সকালেই দেখা গেল পাড়ার পুকুরে ভাসছে চিত্রশিল্পী সজল চৌধুরীর দেহ। এদিকে একই সঙ্গে বাড়িতে উদ্ধার হল তার ভাই বিমল চৌধুরী ও বোন রানু চৌধুরীর দেহ। এই ঘটনা ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কামারহাটি পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ইতিমধ্যেই তিনটি দেহকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটি ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেলঘড়িয়া প্রিয়নাথ গুহ রোড এলাকায় অবিবাহিত তিন ভাইবোন সজল চৌধুরী, বিমল চৌধুরী এবং রানু চৌধুরী থাকতেন। এদের মধ্যে সবথেকে বড় সজল বাবু পাড়ার বাচ্চাদের ছবি আঁকা শেখাতেন। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎই পাড়ার পুকুরে তার দেহ ভাজতে দেখেন স্থানীয়রা। এর পরেই সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশের।

এদিকে সজল বাবুর মৃত্যুর খবর দেওয়ার জন্য তার বাড়িতে পৌঁছন পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু সেখানে গিয়েও দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পর কেউ দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপরেই দরজা ভেঙে তদন্তকারীরা দেখেন খাটের ওপর পড়ে রয়েছে আরও দুটি নিথর দেহ। ওই দেহ দুটিকে চিহ্নিতকরণ করেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। এরপরেই পুলিশ দেহ তিনটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর এদের মধ্যে রানু চৌধুরীর সামান্য মানসিক সমস্যা ছিল। এদিকে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ভাই ও বোনকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই শিল্পী। যদিও ময়নতন্ত্রের রিপোর্ট না এলে এখনও চূড়ান্তভাবে কিছু বলতে পারছে না পুলিশ। তবে কি কারণে এই ঘটনা ঘটলো, মৃতদের বাইরে কোথাও আর্থিক দেনা ছিল কিনা সেই যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।