বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

‘ভাদুকে মেরে দিল…’, পুলিশের সামনেই নাটুকে কান্না বগটুই হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তদের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২২, ০৫:৩০ পিএম | আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২২, ১১:৩০ পিএম

‘ভাদুকে মেরে দিল…’, পুলিশের সামনেই নাটুকে কান্না বগটুই হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তদের
‘ভাদুকে মেরে দিল…’, পুলিশের সামনেই নাটুকে কান্না বগটুই হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তদের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের হত্যাকাণ্ডের জল অনেকদূর গড়িয়েছে। রাজ্য সরকারের গঠন করা সিট এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করলেও, আদালতের নির্দেশে এখন এই গণহত্যার তদন্ত করছে সিবিআই। এদিকে, রামপুরহাট কাণ্ডের তদন্তে বুধবার নিহত রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখ এবং গণহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত অথচ এখনও পলাতক, কয়েকজনের বাড়িতেও যায় সিবিআই। সূত্রের খবর, ভাদু শেখ খুন এবং বগটুইয়ে গণহত্যার পরও গ্রামেই ছিলেন গণহত্যার নায়করা। পুলিশের সামনেও যান তারা। তবে, ওই ঘটনার পর উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করলে, গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপন করে অভিযুক্তরা। 

সোমবার রাত ৮.২৫ থেকে সাড়ে ৮ টার মধ্যে খুন হন ভাদু শেখ। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই দেহ তুলে নিয়ে হাসপাতালে ছোটে তাঁর পরিবার। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার খবর পেয়ে, রাত ৯ টা নাগাদ ঘটনাস্থলে যায় SDPO, IC-সহ পুলিশবাহিনীর সদস্যরা। এরপর ২১ মার্চ ওইদিনই রাতেই পৌনে দশটা নাগাদ বগটুইয়ের ১০ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর পায় পুলিশ। খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলের দিকে তড়িঘড়ি ছোটেন আইসি, এসডিপিও, আইসি নলহাটি-সহ পুলিশের দল। সঙ্গে ছিল দমকল বাহিনীও। 

সূত্রের এও খবর, আগুন লাগানোর পর অভিযুক্তরা পুলিশের সামনেই ‘নাটুকে কান্না’ শুরু করে দেয়। ‘ভাদুকে মেরে দিল…’ বলে কাঁদতে শুরু করে তারা। কিন্তু এরপর জল অন্য দিকে গড়ালে, পুলিশি তৎপরতা শুরু হলে, গ্রাম ছেড়ে পালাতে শুরু করে অভিযুক্তরা।

অন্যদিকে, আজই রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বীরভূম জেলার পুলিশ। 

ভাদু শেখ খুনের পর থেকেই পলাতক ছিল শেরা শেখ, সঞ্জু শেখ এবং রাজা শেখ। তাঁদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছিল বলেও জানা গিয়েছে। এই তিনজনকে রামপুরহাট, মালদা এবং ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই খবর। উল্লেখ্য, ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সিবিআই তদন্ত শুরু হয়নি। পাশাপাশি যে সিট গঠন করা হয়েছিল প্রথমদিকে, সেই টিম বগটুইকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ৮ জনের মৃত্যুরও তদন্ত করছিল। কাজেই ভাদু শেখের খুনের ঘটনার তদন্ত বীরভূম জেলা পুলিশের হাতেই ছিল প্রথম থেকে।