বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

কেন্দ্রের অসহযোগিতা! বন্ধ ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া, জানালেন মমতা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২২, ০৩:৩২ পিএম | আপডেট: জুন ২৯, ২০২২, ০৯:৩২ পিএম

কেন্দ্রের অসহযোগিতা! বন্ধ ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া, জানালেন মমতা
কেন্দ্রের অসহযোগিতা! বন্ধ ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া, জানালেন মমতা

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কেন্দ্রের তরফে অসহযোগিতা নিয়ে ফের একবার সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামীণ রাস্তা, ১০০ দিনের কাজ, ‘বাংলার বাড়ি’ ইত্যাদি কোনও প্রকল্পেই কাটা দিচ্ছে না কেন্দ্রের মোদী সরকার। এদিন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এমনটাই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করার পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে তাঁদের প্রাপ্য পাইয়ে দিতে দিল্লি যাবেন বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

বুধবার দুপুরে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকের এই বৈঠকে ডি এম, এস পি, বিডিও, বিধায়ক থেকে শুরু করে ছিলেন সাংসদরাও। এই সভা থেকেই একাধিক বিষয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ রাস্তা, বাংলার বাড়ি, ১০০ দিনের কাজ অনেক সমস্যা। ৬ মাস ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। যেখানে ১৫ দিনের মধ্যেই টাকা দেওয়ার কথা।’ এরপরই তিনি জেলাশাসকদের উদ্দেশে বলেন, ‘ডিএম’দের কাছে আমার অনুরোধ, পিডব্লিউডি, জলধরো জলভরো-সহ যে সকল প্রকল্পের কাজে বাইরের লোক ব্যবহার করা হয়, সেখানে আপাতত জব কার্ড যাঁদের রয়েছে, তাঁদের নেওয়া হোক।’

প্রকল্পের নামের কারণে কেন্দ্রের থেকে টাকা পাওয়াতে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, সে প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজস্থানের প্রকল্প যদি সেখানকার নামে হয়, তাহলে বাংলা আমাদের জন্মভূমি, সেখানকার প্রকল্প ‘বাংলার বাড়ি’ কেন হবে না। এই প্রকল্পের কাজে ৪০ শতাংশ অর্থ রাজ্য ব্যয় করে।”
সেই সঙ্গে এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কত বাড়ি দেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত তালিকা তৈরি করে কেন্দ্র সরকারই। কিন্তু এবছরে তা করা হয়নি। কাজেই নতুন তালিকা যাতে না করা হয়, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ কেন্দ্রের তরফে সহযোগিতা এক্ষেত্রে না পেলে, নতুন করে কাজ করা সম্ভব নয়, বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী বাংলার বাড়ি প্রকল্প প্রসঙ্গে আরও বলেন যে, ‘যেগুলি তালিকাতে ছিল সেগুলিও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি দিল্লিতে যাব, কোন অপরাধে অপরাধী করা হল, তা জানতে চাইব।’ 

অন্যদিকে, কেন্দ্র রাস্তা তৈরির কাজও বন্ধ করে দিয়েছে, এদিন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের প্রশাসনিক সভা থেকে সেই অভিযোগও করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিকে নিজেদের দায়িত্বে রাস্তার কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। আজকের বৈঠকে সার্বিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।