শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

‘২০২৪-এর মধ্যেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে জল’! পুরুলিয়ার কর্মিসভা থেকে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২২, ০২:২৭ পিএম | আপডেট: মে ৩১, ২০২২, ০৮:২৭ পিএম

‘২০২৪-এর মধ্যেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে জল’! পুরুলিয়ার কর্মিসভা থেকে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
‘২০২৪-এর মধ্যেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে জল’! পুরুলিয়ার কর্মিসভা থেকে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মঙ্গলবার পুরুলিয়ার কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত থেকে এক উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরে যেমন সমস্ত বাড়িতে পাইপ ওয়াটার রয়েছে তেমনই ২০২৪ সালের মধ্যে পুরুলিয়াতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে পাইপ ওয়াটারের ব্যবস্থা। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে শিল্প তৈরীর জন্য বিনিয়োগ করা হবে ৭২ হাজার কোটি টাকা। তৈরি হবে একটি নতুন বিমানবন্দরও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই সকল একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে দ্বিতীয়বারের জন্য জঙ্গলমহল সফরে মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নেন তিনি। কর্মীরা তাদের প্রাপ্য ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছেন না, এই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “গ্রামেগঞ্জে গরিব লোকেরা ১০০ দিনের কাজ করে। আমাদের টাকা আমাদের এখান থেকে তুলে নিয়ে যায়। কারণ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রাজ্যের না, কেন্দ্রের থাকে। আমাদের থেকে পাওয়া ট্যাক্সের ৪০ শতাংশ টাকার মধ্যেই ১০০ দিনের টাকা আছে। ডিসেম্বর থেকেই ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না বিজেপি। হয় গরিবদের টাকা দাও, নয় বিজেপি সরকার বিদায় নাও।”

এছাড়াও তিনি কর্মীদের নির্দেশ দেন, যদি ১০০ দিনের টাকা না মেলে তাহলে আগামী ৫ থেকে ৬ জুন ব্লকে ব্লকে মিটিং করতে হবে। কেন ১০০ দিনের টাকা, বাংলার বাড়ির টাকা, গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা কেন্দ্রের তরফ থেকে দেওয়া হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তোলারও আদেশ দেন তিনি। সব মিলিয়ে পুরুলিয়ার কর্মীসভা থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিধানসভা নির্বাচন হোক বা সাংসদ নির্বাচন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই পুরুলিয়ায় তৃণমূল অত্যন্ত কম সংখ্যক আসনে জিতে এসেছে। এর জন্য অবশ্য কর্মীদের ভুলের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, “হয়তো আমাদের লোকজন কিছু ভুল করেছিল। যার জন্য এমপি এবং এমএলএ ইলেকশনে তাদের ভোটটা আপনারা অনেকেই বিজেপিকে দিয়েছেন। তার জন্য আমাদের মাত্র তিন জন জিতেছেন। আমি মনে করি আগামী দিনে আমাদের কর্মীদের কোনও কাজে যদি বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস মিথ্যে কথা বলে, কুৎসা রটিয়ে, ভাওতা দিয়ে যদি অপপ্রচার করে থাকে তাহলে মানুষ দেখতে পাচ্ছেন জেতার পরে এমপি আর এমএলএ-দের দেখা নেই। বিজেপির আর দেখা নেই। তোমার দেখা নাই গো, তোমার দেখা নাই।”

অন্যদিকে নোটবন্দিকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “নোটবন্দি করতে গিয়ে ১০০ শতাংশের বেশি ৫০০ টাকার ভেজাল নোট তৈরি হয়েছে। বিজেপির মন্ত্রীদের ঘরে ঘরে সিবিআই, ইডি যাওয়া উচিত।” ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আমি আপনাদের সঙ্গে সব সময় থাকব এবং হিম্মত নিয়ে লড়ব। বিজেপি সরকার যতই চেষ্টা করো না কেন ২০২৪-এ আর হবেনা। ২০২৪ নো এন্ট্রি ফর বিজেপি।

অন্যদিকে দলের নিচুতলার কর্মীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “নিচুতলার কর্মীরাই হলেন আসল নেতা। সাইকেলে করে মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। দেখুন আদিবাসীরা কোথায় পাট্টা পাচ্ছে না। আপনারাই নিশ্চিত করুন, আগামী দিনে এখান থেকে যেন একটা আসনও বিরোধীরা না পায়। জেনে রেখো, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, জগাই-মাধাই-গদাই, এরা হচ্ছে তিন ভাই। আমরা তোমাদের আর চাই না।”