ঠিক যেন ‍‍`ভ্রান্তিবিলাস‍‍`! একসঙ্গে থাকার জন্য যমজ ভাইয়ের গলায় মালা দিলেন যমজ বোন

ঠিক যেন ‘ভ্রান্তিবিলাস’! ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যসাগরের লেখা উপন্যাসের বাস্তব চরিত্রায়ন এবার বর্ধমানে। একসঙ্গে থাকার জন্য যমজ দুই বোন বিয়ে করলেন যমজ দুই ভাইকে। একই বিয়ের মণ্ডপে গলায় মালা দিলেন চারজন। এমনই চমকপ্রদ ঘটনার সাক্ষী রইল পূর্ব বর্ধমান জেলার কুড়মুন।

কুড়মুনের বাসিন্দা ওই দুই যমজ বোনের নাম অর্পিতা এবং পারমিতা। সদ্য কলেজ পাধ করেছেন দু‍‍`জনে। তারপরই বিয়ের জন্য উঠেপড়ে লাগে পরিবার। কিন্তু ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বেড়ে ওঠা দুই বোন বিয়ের পর আলাদা হয়ে যাবেন, এমনটা হয় নাকি! তাই অর্পিতা-পারমিতার শর্ত ছিল বিয়ে হলে একই বাড়িতে হতে হবে। কারণ তাঁরা কিছুতেই একে অপরকে ছেড়ে থাকতে রাজি নন।

কিন্তু একই বাড়িতে দুই পাত্র পাওয়া সহজ নয়! পরিবারের তরফে তখন চারপাশে পড়ে গেল খোঁজ খোঁজ রব। তবে বেশি খোঁজের দরকার পড়েনি। পাত্র ছিল হাতের কাছেই। পূর্ব বর্ধমান জেলারই ভাতারে খোঁজ মিলল যমজ দুই পাত্রের। আর তারপরই যমজ ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন যমজ বোন।

গত রবিবারই যমজ ভাই লব এবং কুশের গলায় মালা দেন অর্পিতা-পারমিতা। ধুমধাম করে একই বিয়ের আসরে আটহাত এক হয় তাঁদের। তাঁদের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন বহু অতিথি। নববিবাহিত দম্পতিদের প্রাণভরে আশীর্বাদ করেন আমন্ত্রিতরা। অনেকে আবার তাঁদের নিয়ে মজার ছলে বলেন যে, বিয়ের পর একে অপরকে তাঁদের চিনতে অসুবিধা হবে না তো!

যদিও সেসব নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামাতে নারাজ সদ্যবিবাহিত দুই দম্পতি। আপাতত চারজনে মিলে মন দিয়ে সংসার করাই লক্ষ্য তাঁদের। একসঙ্গে একইবাড়িতে হাসি-মজায় সংসার পাতবেন চারজনে। তাঁদের এই জুটি এখন এলাকাতেও বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। সকলেই চাইছেন তাঁদের বিবাহিত জীবন সুখের হোক।