শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

একগুচ্ছ ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গে শাহ সফর! একনজরে ‍‍`শাহি সফর‍‍`-এর পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মে ৫, ২০২২, ০৮:৫৩ এএম | আপডেট: মে ৫, ২০২২, ০২:৫৩ পিএম

একগুচ্ছ ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গে শাহ সফর! একনজরে ‍‍`শাহি সফর‍‍`-এর পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ
একগুচ্ছ ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গে শাহ সফর! একনজরে ‍‍`শাহি সফর‍‍`-এর পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এক বছরেরও বেশি সময় পর আজ বাংলার মাটিতে পা রাখতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দু’দিনের সফরে রয়েছে একগুচ্ছ ঠাসা কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার সকালেই দিল্লি থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখবেন অমিত শাহ। এরপরই শুরু হবে তাঁর একের পর এক কর্মসূচি পূরণের সফর। রইল শাহি সফরের পূর্ণাঙ্গ রোড ম্যাপ।

৫ মে, ২০২২, বৃহস্পতিবার :

কলকাতা থেকে সুন্দরবন পরিদর্শনের পর বিএসএফের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন করার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এরপর বিএসএফের হেলিকপ্টার করেই যাবেন উত্তর ২৪ পরগণার হিঙ্গলগঞ্জে। সেখানে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন‌ তিনি।

এরপর নদিয়ার কল্যাণীতে রয়েছে আরও একটি কর্মসূচি। সেই কর্মসূচি সম্পন্ন করেই উড়ে যাবেন শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে ইনস্টিটিউট মাঠে একটি সভায় যোগ দেবেন অমিত শাহ। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে রথে চেপে সভায় যাওয়ার পথে তেনজিং নোরগে ও ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার প্রতিকৃতিতে ফুল ও মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর রাতে শিলিগুড়ি ও উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

৬ মে, ২০২২, শুক্রবার :

শুক্রবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে অমিত শাহ যাবেন কোচবিহারে। উদ্দেশ্য কোচবিহারের তিন বিঘা এলাকা পরিদর্শন। সেখানে সরকারি অনুষ্ঠান সেরে দুপুরেই ফিরবেন কলকাতায়।

শুক্রবার কলকাতায় রয়েছে জোড়া বৈঠক। কলকাতায় ফিরে প্রথমেই দলের রাজ্য নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শাহ। এরপর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে সংস্কৃতি মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। শুক্রবার রাতেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন অমিত শাহ।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এবারের শাহ সফরের একাধিক কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম হল তিন বিঘা করিডোর পরিদর্শন। মূলত এই তিন বিঘা করিডোর দিয়েই বাংলাদেশের বহু যানবাহন যাতায়াত করে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই নির্দিষ্ট এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পুরোপুরি উন্মুক্ত। তাই এই পথ দিয়েই চোরাচালানের কারবার ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বেড়েই চলেছে।

১৯৭৪ সালের চুক্তি অনুযায়ী বেরুবাড়ি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু এরপরেও ভারতবাসীর বেশ কিছু জমি রয়ে গিয়েছে কাঁটাতারের ওপারে। বিএসএফের অনুমতি ছাড়া সেই জমিতে কাজ করা কার্যত অসম্ভব। এবার এই বিষয়টি নজরদারিতে আনতেই অমিত শাহর তিনবিঘা করিডোর সফর।

বলাবাহুল্য, গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারের সীমান্তবর্তী এলাকায় গেরুয়া শিবির বেশ ভালোই করে। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পুরো অঙ্কটাই যেন বদলে যায়। গেরুয়া ঝড় থামিয়ে ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে তৃণমূল। বিজেপি নেতারা মনে করেন ওই অঞ্চলে অনুপ্রবেশকারী ও চোরাচালান ইস্যুই পদ্ম শিবিরের খারাপ ফলাফলের অন্যতম কারণ। তাই একুশের নির্বাচনের পর বাংলায় পা রেখেই তিন বিঘা করিডর পরিদর্শনে যাচ্ছেন অমিত শাহ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের মত, আমজনতার অসুবিধা মেটানোর পাশাপাশি ওই এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে কার্যত নয়া স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেছে বিজেপি।