বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

হাওড়ায় ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা! কলকাতাগামী গাড়িতে তল্লাশির সময়েই লরির ধাক্কা, মৃত ৩

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২, ০৯:২০ এএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২, ০৩:২০ পিএম

হাওড়ায় ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা! কলকাতাগামী গাড়িতে তল্লাশির সময়েই লরির ধাক্কা, মৃত ৩
হাওড়ায় ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা! কলকাতাগামী গাড়িতে তল্লাশির সময়েই লরির ধাক্কা, মৃত ৩ / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ হাওড়ায় গভীর রাতে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। মুম্বই রোডে কলকাতাগামী গাড়িতে তল্লাশির সময়ই ঘটনা দুর্ঘটনা। একটি গাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন রানিহাটি মোড়ের কাছে পিছন থেকে ধাক্কা মারে অন্য একটি লরি। এর জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন মোটর ভেইক্যাল অফিসার, এক সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং ঘাতক লরির চালক। দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া গ্রামীণ জেলার পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রত্যেকদিনই কোলাঘাট থেকে ধূলাগড় পর্যন্ত ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে মোটর ভেইক্যালের পক্ষ থেকে তল্লাশি চালানো হয়। বুধবার রাতে ২ থেকে ২.৩০-এর মাঝে রানিহাটির মাঝে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন আধিকারিকরা। সেখানে সিভিক ভলান্টিয়রাও ছিলেন।

জানা গিয়েছে, একটি কলকাতাগামী লরিকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই পিছন থেকে একটি লরি খুবই দ্রুত গতিতে আসছিল। জানা গিয়েছে, ঘাতক লরিটির গতিবেগ এতোটাই বেশি ছিল যে, লরির চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। সজোরে ধাক্কা মারেন আগের লরিটিতে। দুমড়ে-মুচড়ে যায় দুটি গাড়িই। সিভিক ভলান্টিয়ার ও ওই আধিকারিক গুরুতর আহত হন এই দুর্ঘটনার জেরে। এদিকে, ঘটনাস্থলেই ঘাতক লরির চালকের মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার পর দ্রুত আহত দুইজনকে উদ্ধার করে ডাববেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁদের উভয়েরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, একজনকে নার্সিংহোমে এবং অপরজনকে হাওড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু দুজনেরই মৃত্যু হয়।

জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম অরিন্দম, তাঁর ডিউটি ছিল নরেন্দ্র মোড়ে। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মোটর ভেইক্যালের পক্ষ থেকে। তারপরই ঘটে দুর্ঘটনা। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন অরিন্দম। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়। মাত্র দেড় বছর আগেই মৃত্যু হয়েছে বাবার, মা মানসিক ভারসাম্যহীন। এক বোন রয়েছে অরিন্দমের। কাজেই তাঁর উপরেই সব দায়িত্ব ছিল। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।