বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

উচ্চমাধ্যমিকে ইংরেজিতে ফেল! পাশের দাবিতে আন্দোলনের পর চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ছাত্রী

মৌসুমী মোদক | তনুজ জৈন

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২, ০৯:৫৯ পিএম | আপডেট: জুন ১৯, ২০২২, ০৪:১৫ এএম

উচ্চমাধ্যমিকে ইংরেজিতে ফেল! পাশের দাবিতে আন্দোলনের পর চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ছাত্রী
উচ্চমাধ্যমিকে ইংরেজিতে ফেল! পাশের দাবিতে আন্দোলনের পর চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ছাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ- ইংরেজিতে উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ফলপ্রকাশের পর পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনেও নেমেছিলেন। ডিআই, এসআই অফিসে ধর্না থেকে পথ অবরোধ, বাদ ছিল না কিছুই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অবসাদে ভুগে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন এক ছাত্রী। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে, মালদহের হবিবপুর এলাকায়৷ জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম শম্পা হালদার। হবিবপুরের ডুবা পাড়া এলাকায় তাঁর বাড়ি। ছাত্রীটি চলতি বছরেই স্থানীয় আরএন রায় গার্লস হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু পাশ করতে পারেননি।

আরএন রায় গার্লস স্কুল থেকে এবার মোট ১৮০ জন পড়ুয়া উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র ৮০ জন। বাকিরা প্রত্যেকেই ফেল৷ তার মধ্যে ছিলেন শম্পাও। পাশ করানোর দাবিতে মালদহ-বুলবুলচণ্ডী রাজ্য সড়ক অবরোধ থেকে শুরু করে মালদহ জেলা শিক্ষা দপ্তরের অফিস ঘেরাও আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন শম্পা৷ কিন্তু দাবিপূরণের আগেই চরম পরিণতি বেছে নেন তিনি।

এদিন সকালেই বাড়িতে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান শম্পার পরিবারের সদস্যরা। তারপরই থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে এরপর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। আপাতত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায়  অবসাদের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। তাঁর পরিবারেরও একই দাবি। এই ঘটনা নিয়ে গোটা এলাকা জুড়ে এখন ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।