Corona Update West Bengal: রাজ্যের করোনা গ্রাফে স্বস্তি! গত ২৪ ঘণ্টায় ফের কমল আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ল সুস্থতার সংখ্যা

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখনও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যের করোনা গ্রাফ এখন স্বস্তি দিচ্ছে। খুলে গেছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফের স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। এদিকে, রাজ্যের করোনা গ্রাফ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ফের কমল আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি, আজও মৃত্যুশূন্য বাংলা। টিকাকরণ এবং করোনা বিধিনিষেধের জোরে রাজ্য এখন সুস্থতার পথে এগোচ্ছে ক্রমশ। এদিকে, গত ১ এপ্রিল থেকেই করোনাবিধি উঠে গেছে। যদিও মাস্ক পরা এখনও বাধ্যতামূলক।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ জন। গতকালের থেকে ফের বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল রাজ্যে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৮ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ২০ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৪৮ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনার পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ০.২৮ শতাংশে।

অন্যদিকে, গতকাল করোনায় রাজ্য মৃত্যুশূন্য ছিল। গত ২৪ ঘণ্টাতেও রাজ্যে করোনায় একজনেরও মৃত্যু হয়নি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ২০৩ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪৩ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন মোট ১৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩৬৪ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৯৩ শতাংশ। 

করোনার মোকাবিলায় জারি রয়েছে টিকাকরণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৯৮ হাজার ৭৬০ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৯ হাজার ২৯২ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। ধীরে ধীরে সুস্থতার পথেই এগোচ্ছে রাজ্য।

দেশের অন্যান্য রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, বাংলায় এখনও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে সংক্রমণ। এদিকে, সম্প্রতি নবান্নে জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, জলপাইগুড়ি ও ঝাড়গ্রাম জেলায় করোনার টিকাকরণের হার এখনও ৯০ শতাংশের নিচে। তাই এই জেলাগুলিতে টিকাকরণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে, জেলা হাসপাতাল থেকে রেফার করার প্রবণতা কমাতে হবে। করোনা রোগী নয়, এমন রোগীদের চিকিৎসায় কোনোরকম গাফিলতি করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর পরিকাঠামো আরও ভাল করতে হবে।