শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

জঙ্গল থেকে ভেসে আসছিল কান্না! পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার সদ্যোজাত, হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা

মৌসুমী মোদক | তনুজ জৈন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২, ০৭:০৭ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ১, ২০২২, ০১:১৯ এএম

জঙ্গল থেকে ভেসে আসছিল কান্না! পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার সদ্যোজাত, হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা
জঙ্গল থেকে ভেসে আসছিল কান্না! পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার সদ্যোজাত, হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা / প্রতীকী ছবি

নর্দমা থেকে উদ্ধার হল সদ্যোজাত এক শিশু। শুক্রবার জীবিত সদ্যোজাত উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের মালতীপুর বিধানসভার মালাহার এলাকায়। জঙ্গলের ঝোঁপঝাড় থেকে ভেসে আসছিল সদ্যোজাতের কান্না। পথচারীদের কানে  কান্নার শব্দ আসতেই হইচই শুরু হয়ে যায়। জড়ো হন বাসিন্দারা। এরপরই এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

সদ্যোজাতকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে পোশাকে মুড়িয়ে রাখা হয় আমগাছের তলায়। হইচই শব্দ শুনে চোখ খোলে শিশুটির। সেই সময়ই ছুটে আসেন এলাকার সিভিক পুলিশ। তারপরেই সদ্যোজাতকে কোলে তুলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।

নিজ খরচে গাড়ি ভাড়া করে হাসপাতালে নিয়ে যান ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। এরপর শিশুটিকে চাঁচল সুপার স্পেশাল্যাটি হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন সে। হাসপাতালের নার্সরা নির্ণয় করেন যে সেটি কন্যা সন্তান। বয়স মাত্র একদিন।

শিশুটিকে উদ্ধারকারী ওই সিভিক ভলান্টিয়ার মোশারফ হোসেন জানান, “সকলেই মনে করেছিলেন যে সে মৃত। কিন্তু আমি দেখি চোখ মেলে রয়েছেওই নবজাতক। বেঁচে রয়েছে বুঝতে পেরেই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।” আপাতত কে বা কারা ওই সদ্যোজাতকে ফেলে রেখেছিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

এদিকে ঘটনার খবর শুনে ওই  সিভিক ভলান্টিয়ার পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ চাঁচল বাসী। পুলিশ তৎপর হয়ে হাসপাতালে নিয়ে এসে কর্মরতের পাশাপাশি মানবিকতারও কাজ করেছে। একইসঙ্গে যারা এই নক্কারজনক কাজ করেছে তাদের বিবেক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সভাধিপতি।