শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আমি যদি ক্ষমতায় না আসি তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসবেন না! বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে বিধায়ক

মৌসুমি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৩:০৫ পিএম | আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৯:০৫ পিএম

আমি যদি ক্ষমতায় না আসি তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসবেন না! বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে বিধায়ক
আমি যদি ক্ষমতায় না আসি তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসবেন না! বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে বিধায়ক

নির্বাচনের আগে হোক বা পরে বারবার লাগামহীন মন্তব্য নিয়ে সতর্ক করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তা সত্ত্বেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য বারবার অস্বস্তিতে ফেলছে শাসকদলকে। এবার ফের একবার বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়ালেন পাঁচলার তৃণমূল বিধায়ক গুলশান মল্লিক।

সোমবার বিকেলে পাঁচলায় ধুলোর বাঁধ এলাকায় এক কর্মীসভায় যোগ দেন এলাকার বিধায়ক গুলশান মল্লিক। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমি যদি ভোট না পাই তাহলে সন্ন্যাস নেব। আর যদি পাঁচলায় ক্ষমতায় না আসি তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবান্নে বসবে না"। তার এই মন্তব্যের পরেই রীতিমতো বিতর্কের ঝড় উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মুহূর্তেই ভাইরাল হয়েছে বিধায়কের এই মন্তব্য।

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক প্রকল্প নিয়ে প্রশংসাও করেছেন বিধায়ক। তিনি জানিয়েছেন, "ভোটের সময় আমরা একটা মাস পুলিশের সঙ্গে কোনও কথা বলিন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর চাবুক আমাদের কর্মীদের পিঠের চামড়া তুলে নিয়েছে, রক্ত বইয়ে দিয়েছে। তবুও আমাদের কর্মীরা লড়াই করেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী না থাকলে মানুষের এই পরিষেবার কথা কেউ ভাবতই না।"

বিধায়ক আরও বলেন, "আমরা কোনও বাজে কথা বলি না। ২০১১ সালে অনেকে বলেছিল পাঁচলায় তৃণমূল জিতবে না। তখনই আমি বলেছিলাম পাঁচলায় তৃণমূল হেরে গেলে রাজ্যে হেরে যাবে। এখন আমি এই নিয়ে কোনও কথা বলিনি। কে এই সব বলছি জানি না। এখন শুধু দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে কথা হবে। দল যা নির্দেশ দিয়েছে পালন করব।"

হাওড়ায় এর আগেও হাওড়া উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী বেসরকারি ওষুধ সংস্থার সঙ্গে তুলনা টেনে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন দলকে। এরপর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের পাঁচলার বিধায়ক এই মন্তব্য করে দলের খানিকটা অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। এদিকে আজ থেকেই শুরু হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি। সেখানেও জনপ্রতিনিধিরা কিংবা তৃণমূল বিধায়করা একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করতে গিয়ে দলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন। আর এই বিতর্কিত মন্তব্যকে হাতিয়ার করছে বিরোধীদল।